প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
কেরলের স্কুলশিক্ষা দপ্তর সূত্রের খবর, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং বৃত্তিমূলক উচ্চ মাধ্যমিক— এই তিনটি বিভাগের ১৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর কয়েকটি করে পরীক্ষা গ্রহণ বাকি। কেন্দ্রীয় বা অন্যান্য রাজ্যের বোর্ডগুলি ইতিমধ্যেই আগামী জুনের শেষ থেকে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে স্থগিত থাকা পরীক্ষাগুলি নেবে বলে স্থির করেছে। কেরলের স্কুলশিক্ষা দপ্তরও গোড়ায় তাই ঠিক করেছিল। কিন্তু গত সোমবার বিজয়ন সেই সিদ্ধান্তে জল ঢেলে চলতি মাসের শেষেই পরীক্ষাগুলি নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। শুরু হয় হইচই। এমনকী বামজোট সরকারের শরিক সিপিআই’ও যে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত নয়, সেটা তারা বুঝিয়ে দেয়। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মে মাসে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হবে বলে ঠিক হয়। কিন্তু তার ঘণ্টা তিনেক পরই বিজয়ন স্কুলশিক্ষা মন্ত্রী সি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কথা বলে ফের ২৬-৩০ মে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেন। এবিষয়ে তিনি কেন্দ্রের অনুমতি পাওয়ার বিষয়টিকে অজুহাত করেন।
তিনদিনের মধ্যে এভাবে বার চারেক সিদ্ধান্ত বদল করার ঘটনায় কেরলের ছাত্র-অভিভাবকদের মধ্যেও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। পড়ুয়াদের কেন সংক্রমণের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলিও। সরকারের বক্তব্য, সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে বেশি সংখ্যক পরীক্ষাকেন্দ্র এবং গণ পরিবহণের ব্যবস্থা করছে রাজ্য। কিন্তু বিরোধীদের পাশাপাশি কেরলের সিপিএম সহ বাম দলগুলির অনেক নেতাও মনে করছেন, কোভিড মোকাবিলার সাফল্যের পর স্রেফ আবার নজির তৈরি করার নেশায় এত বড় ঝুঁকি নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।