বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
ইএসআই কন্ট্রিবিউশনের হার মাসে সাড়ে ছ’শতাংশ থেকে কমিয়ে চার শতাংশ করা হয়েছে। যার মধ্যে কর্মী কন্ট্রিবিউশনের হার মাসে ১.৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ০.৭৫ শতাংশ। এবং এমপ্লয়ার্স কন্ট্রিবিউশনের হার মাসে ৪.৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৩.২৫ শতাংশ। ইএসআইসির ব্যাখ্যা, মাসিক বেতন বা মজুরি থেকে তুলনায় কম হারে প্রদেয় অর্থ (কন্ট্রিবিউশন) কাটা যাওয়ায় মাসে বেশি বেতনের অর্থ বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন আওতাভুক্ত শ্রমিক-কর্মচারীরা। জানা যাচ্ছে, সচেতনতামূলক প্রচারে এটিও ব্যবহার করতে চলেছে কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগম। ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে, সরকারি স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচি ইএসআইয়ে উপভোক্তার সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি ৩২ লক্ষ। যার মধ্যে মূল শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছেন প্রায় ৩ কোটি ১৪ লক্ষ। ইএসআইসির আওতায় সংস্থা-প্রতিষ্ঠান বা কলকারখানা রয়েছে প্রায় ১২ লক্ষ ১১ হাজার। আওতাভুক্ত প্রায় তিন কোটি শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যাই বৃদ্ধি করে পরবর্তী দু’বছরের মধ্যে ১০ কোটি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সংশয়। ন্যূনতম ১০ জন কর্মী থাকলেই সংশ্লিষ্ট সংস্থা ইএসআইসির আওতায় আসে।
সর্বোচ্চ ২১ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেলেই বাধ্যতামূলকভাবে ইএসআই পরিষেবা পান আওতাভুক্ত সংস্থার শ্রমিক-কর্মচারীরা। এর আওতায় থাকা কর্মীরা চিকিৎসা পরিষেবা তো পানই, পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের যে সদস্যরা ওই কর্মীর উপর নির্ভরশীল, তাঁরাও এই চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে থাকেন। এছাড়াও সিকনেস বেনিফিট, মেটারনিটি বেনিফিট, টেম্পোরারি ডিস-অ্যাবেলমেন্ট বেনিফিট, পার্মানেন্ট ডিস-অ্যাবেলমেন্ট বেনিফিটের মতো একাধিক পরিষেবাও পান গ্রাহকেরা। এমনকী কোনও গ্রাহকের মৃত্যু হলে তাঁর উপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যদের ওই গ্রাহকের শেষকৃত্যের জন্য শর্তসাপেক্ষে ১৫ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতাও করা হয়। সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানে এই বিষয়গুলির উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।