বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
নির্ভয়া গণধর্ষণ ও খুন মামলায় এক দোষী প্রাণভিক্ষার আবেদন জানিয়েছে। ফলে, আইনি কারণে নিম্ন আদালতের নির্দেশমতো আগামী ২২ জানুয়ারি চার দোষীর ফাঁসি হচ্ছে না। এজন্য সরাসরি কেজরিওয়াল সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভরেকর বলেন, ‘২০১৭ সালে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু, তারপর তাদের উদ্দেশে নোটিশ জারি করতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার অহেতুক আড়াই বছর দেরি করেছে। এর জন্যই দোষীদের এখনও ফাঁসি হয়নি।’
যদিও, বিজেপির এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে আম আদমি পার্টি। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগে শাসক দল জানিয়েছে, দিল্লির আইন-শৃঙ্খলা কেন্দ্রের হাতে রয়েছে। জাভরেকর মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। এদিন, আপ নেতা সঞ্জয় সিং বলেন, ‘জাভরেকরের মন্তব্য অসংবেদনশীল এবং মিথ্যা। কারণ, দিল্লির আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রের হাতে। তিনি আরও বলেন, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে যা দেরি হচ্ছে, তার জন্য বিজেপিই দায়ী। সেই কারণেই মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
২২ জানুয়ারি নির্ভয়া গণধর্ষণ ও খুন মামলায় দোষী সাব্যস্ত চারজনের ফাঁসির দিন ধার্য হয়েছিল। সেব্যাপারে জেল কর্তৃপক্ষের প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তৃত রিপোর্ট তলব করল দিল্লির একটি আদালত। শুক্রবার এই রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন দায়রা আদালতের অতিরিক্ত বিচারক সতীশ কুমার অরোরা। অন্যদিকে, নির্ভয়ার ধর্ষক ও খুনির প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করার সুপারিশ করলেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর (এলজি)। তাঁর এই সুপারিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পৌঁছেছে। মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, এলজি’র সুপারিশ মন্ত্রকের কাছে এসেছে। তা খতিয়ে দেখে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।