হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে ট্রেড লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স প্রভৃতি পেতে সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেম চালু করতে শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্রকে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কোনও কাজের যেন দীর্ঘসূত্রিতা না হয়। এর জন্য একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে। তাঁর অধীনে চার-পাঁচজন অফিসারকে রাখতে হবে। জেলাশাসককে অনেক কাজ করতে হয়। তাই এই নোডাল অফিসার সব দেখভাল করবেন। সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, ঠিকমতো কাজ হয় না। অনেকে ভাবেন, আমার মনমতো না হলে কাজ করব না। কতটা প্লাস, না কতটা মাইনাস সেসব দেখব। এসব চলবে না। মনে রাখতে হবে, সময়ের সঙ্গে কাজ করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ৬৯-৭০ শতাংশ কর্মসংস্থান হয় শুধুমাত্র ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প থেকে। দেশের জাতীয় আয়ের ১৪ শতাংশ আসে শুধুমাত্র এরাজ্যেতর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প থেকেই। হাওড়াকে পুনরায় 'শেফিল্ড অব ইস্ট' করা হবে। এদিন হাওড়ায় জেমস অ্যা ন্ড জুয়েলারি পার্ক, জগদীশপুরে হোসিয়ারি পার্ক, সাউথ সিটি আনমোল ইনফ্রা পার্ক, ফাউন্ড্রি পার্ক, জগৎবল্লভপুরে মিনি ফাউন্ড্রি পার্ক, কেমিক্যাল পার্ক, সাঁকরাইলে মেগা লজিস্টিক পার্ক-এর উদ্বোধন হল। এছাড়াও ‘ডিজিটাল পাবলিক লাইব্রেরির উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি খাদ্যাশ্রী ভবনেরও উদ্বোধন করেন নবান্নের সভাঘর থেকে। এছাড়াও ৯০টি প্যা সেঞ্জার শেল্টারের উদ্বোধন করেন মুখ্যভমন্ত্রী।
অমিত মিত্রকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এক্সপোর্ট-ইমপোর্টের ব্যসবস্থা একটু ভালো করে দেখতে হবে। গ্রামের মানুষকে কর্মদিশা দেখাতে হবে। সেই কাজে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সবচেয়ে বেশি সাহায্যি করে। এক্সপোর্ট সেন্টার যাতে হাওড়া, হলদিয়াতে করা যায়, সেটাও দেখতে বলব। মুখ্যকমন্ত্রী বলেন, কথায় কথায় গেট বন্ধ করে ঝান্ডা নিয়ে বসে পড়া ঠিক নয়। দ্রুতগতিতে কাজ করার জন্য মেকানিজম তৈরি করুন। আমরা কেউ হিংসা, অশান্তির প্রতিযোগিতায় নেই। পশ্চিমবঙ্গ শিল্পের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নিরাপদ। এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী ছাড়াও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ হাওড়ার এমএলএ-এমপি’রাও উপস্থিত ছিলেন।