হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
সম্প্রতি সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে আলাদা দুটো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দিয়েছে কেন্দ্রের দ্বিতীয় মোদি সরকার। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে প্রবল রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দু’টুকরো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ নস্যাৎ করতে জম্মু-কাশ্মীরে একের পর এক উন্নয়নমূলক কর্মসূচির ঘোষণা করছে কেন্দ্র সরকার। সপ্তাহখানেক আগে এই প্রসঙ্গে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছেন। ফলে মনে করা হচ্ছে, দিল্লি থেকে জম্মু পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালিয়ে এই ইস্যুতে আরও স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইছেন মোদি।
এই মুহূর্তে দেশের মধ্যে একটিমাত্র রুটেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলে। নয়াদিল্লি-বারাণসী। এবারে যদি দিল্লি-কাটরা রুটে এই সেমি হাইস্পিড ট্রেন চালানো সম্ভব হয়, তাহলে তা হবে দেশের দ্বিতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাওয়ার জন্য জম্মু-কাশ্মীরের এই কাটরা স্টেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই দিকটিও মাথায় রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার। রেলমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, দিল্লি থেকে কাটরা রুটে সাফল্যের সঙ্গে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ট্রায়াল রান সম্ভব হয়েছে। তবে উল্লিখিত রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত অনুমোদন এখনও মেলেনি। তবে শীঘ্রই এ ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত মিলতে চলেছে। কিছুদিন আগে কেন্দ্রের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নয়াদিল্লি-হাওড়া এবং নয়াদিল্লি-মুম্বই রুটের ট্রেনের গতি বৃদ্ধি করা হবে। গড় গতি করা হবে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। উল্লিখিত দু’টি রুটে পরিকাঠামোগত মানোন্নয়ন করে চালানো হবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসও। কিন্তু এই যাবতীয় কর্মসূচির সফল রূপায়নের জন্য তিন বছরের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। তার আগেই দিল্লি-কাটরা রুটে দ্বিতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করে দিতে চাইছে কেন্দ্র। এমনটাই জানা গিয়েছে রেলমন্ত্রক সূত্রে।