সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
তাঁর কথায়—‘আস্ফালন করে লাভ হবে না বিজেপির। প্রথম দু’দফার ভোটে এপাশ-ওপাশ-ধপাস হয়ে গিয়েছে। দফারফা অবস্থা। আর বাকি যে পাঁচটা দফা হবে, তার জন্য বুক দুরু দুরু করছে ওদের।’ মমতার কটাক্ষ—‘৪০০ পার তো দূরের কথা। ২০০ ভি নেহি হোগা পার। ইস বার পগার পার।’ মুর্শিদাবাদের জোড়া জনসভা থেকে মহারণ-২৪’এর ‘ইন্ধন’ জুগিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তীব্র দাবদাহের মধ্যেও তাঁর কথা শুনতে উচ্ছ্বাস-আবেগ নিয়ে যে হাজার হাজার জমায়েত অপেক্ষা করছিল, তাঁদের জন্য মমতার বার্তা—‘এবারের লড়াইটা দেশের ঐক্য, সম্প্রীতি আর সংবিধান বাঁচানোর।’ এই পর্বে কাজি নজরুল ইসলামের লেখা উদ্ধৃত করে তাঁর সংযোজন, ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু, দুস্তর পারাবার... এই লড়াইটা জিততেই হবে।’
এদিন মুর্শিদাবাদ জেলায় জঙ্গিপুরের দলীয় প্রার্থী খলিলুর রহমান এবং মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের প্রার্থী আবু তাহের খান ও ভগবানগোলা বিধানসভা উপ নির্বাচনের দলীয় প্রার্থী রিয়াত হোসেন সরকারের সমর্থনে নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়েছিলেন মমতা। মোদি এড়িয়ে চললেও, মূল্যবৃদ্ধির তীব্র আঁচে যে গোটা দেশের মানুষ ঝলসে যাচ্ছে, মূল্যবৃদ্ধিই যে দেশের অন্যতম জ্বলন্ত ইস্যু, তা উপলব্ধিতে রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। তাঁর কথায়, ‘জিনিসপত্রের দাম কত বেড়েছে, কই মোদিবাবু আপনার মুখে তো একটাও কথা নেই? ব্লাড সুগার, ক্যান্সার, ব্লাড প্রেশার, কোলেস্টরেলের মতো নিত্যদিনের ওষুধের দাম কতটা বাড়িয়ে দিয়েছে এই মোদি! গ্যাসের দাম কত? বিজেপিকে বলুন, কেন ভোট দেব? বিনা পয়সা আমরা দিচ্ছি রেশন, আর তুমি বিনা পয়সায় দিচ্ছ ভাষণ! আগামীতে খাবেন কী, পরবেন কী? প্রচারবাবু ফিরলে, জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে।’ মমতার প্রত্যয়—‘মানুষের ভোটে মোদি আর আসবেন না।’ সভামঞ্চ থেকে স্লোগান তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো—‘জিনিসের দাম কম নেই, বিজেপির তাই ভোটও নেই।’ স্লোগানে গলা মেলায় জনতা-জনার্দন। আত্মবিশ্বাসকে জনতার সঙ্গে ভাগ করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, হাওয়া কিন্তু রটে গিয়েছে। একটাই আওয়াজ দেশজুড়ে—‘বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও’।