সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
সম্প্রতি তেলেঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে দলের এক্স হ্যান্ডলে অমিত শাহের বক্তৃতার একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, ওই ভিডিওয় শাহ তফসিলি জাতি ও উপজাতি এবং ওবিসিদের সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন। ভিডিওটি রেবন্ত সহ কংগ্রেসের একাধিক নেতা রিপোস্ট করেন। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই সেটি ভুয়ো বলে দাবি করে বিজেপি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে দিল্লি পুলিসে অভিযোগ দায়ের করা হয়। দিল্লি পুলিস ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি কোন অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছে, তার তথ্য জানতে এক্স ও ফেসবুককে নোটিস দিয়েছে পুলিস। এদিকে, ওই ভিডিও ছড়ানোর জন্য গুয়াহাটির ঋতম সিং নামে এক কংগ্রেসকর্মীকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বিজেপির দাবি, একটি নির্বাচনী সমাবেশে শাহের বক্তব্যকে বিকৃত করে ভিডিওটি বানানো হয়েছে। দলের মুখপাত্র অমিত মালব্য বলেন, ‘কংগ্রেস একটি ভুয়ো, বিকৃত ভিডিও ছড়াচ্ছে, যার ফলে বড় আকারে হিংসা ছড়াতে পারে। অমিত শাহ ধর্মের ভিত্তিতে অসাংবিধানিকভাবে তেলেঙ্গানায় মুসলিম সংরক্ষণের বিষয়ে কথা বলেছিলেন। সেখানে প্রকৃত কথাগুলি সরিয়ে এসসি-এসটিদের সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার কথাগুলি বসানো হয়েছে।’ ওই ভিডিওর জন্য তাঁরা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মালব্য। ভিডিওটি ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হওয়ায় খোদ শাহকে আসরে নামতে হয়। রবিবার তিনি আশ্বাস দেন, ‘যতদিন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন তফসিলি জাতি-উপজাতি ও ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্তদের সংরক্ষণ নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না।’ একইসঙ্গে এই ইস্যুতে রাহুল গান্ধীকেও আক্রমণ করেছিলেন তিনি। শাহ বলেন, ‘রাহুল গান্ধী মিথ্যা কথা বলে মানুষকে ভুল পথে চালিত করছেন। বিজেপি টানা ১০ বছর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় রয়েছে। বিজেপি যদি দেশে সংরক্ষণ প্রথা অবলুপ্ত করার কথাই ভাবত, তাহলে এতদিনে তা করে ফেলত। এসব মিথ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়।’