সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এতে কীভাবে উপকৃত হবেন শিক্ষকরা? ধরা যাক, কোনও শিক্ষক বাঁকুড়া থেকে পূর্ব মেদিনীপুরে আসতে চান। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের কোনও শিক্ষক বাঁকুড়া আসতে চান না। পূর্ব মেদিনীপুরের শিক্ষক আসতে চান পূর্ব বর্ধমানে। পূর্ব বর্ধমানের শিক্ষক পূর্ব মেদিনীপুরে না গিয়ে আসতে চান বাঁকুড়ায়। তাই বাঁকুড়া পূর্ব মেদিনীপুর এবং পূর্ব বর্ধমানের তিন শিক্ষককে নিয়ে যদি মিউচুয়াল ট্রান্সফার কার্যকর করা হয়, তাহলে তিনজনই উপকৃত হবেন। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী এর সমর্থন জানিয়ে বলেন, এই পদ্ধতি চালু হলে কিন্তু অনেক বেশি শিক্ষক উপকৃত হবেন। সরকারের ওপর কোনও আর্থিক বোঝা তো থাকবেই না, তাদের শূন্যপদও খুঁজে বের করতে হবে না বদলির সুযোগ দেওয়ার জন্য। একই ধরনের পোস্ট হওয়ার জন্য এতে ছাত্রছাত্রীদেরও কোনও ক্ষতি হবে না।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে শুনানি ছাড়াই মিউচুয়াল ট্রান্সফারের বকেয়া আবেদনগুলির ছাড়পত্র দিতে শুরু করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। অনলাইনে ডাউনলোড করে নেওয়া যাচ্ছে সেই রেকমেন্ডেশন লেটার। চিঠিতে কোনও ভুল থাকলে, কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে শিক্ষকদের। পুজোর আগে শিক্ষকদের কাছে এটা বড় সুখবর। যদিও সারপ্লাস ট্রান্সফারের দাবি এখনও বিভিন্ন সংগঠন তুলে চলেছে। অর্থাৎ যেসব স্কুলে বাড়তি শিক্ষক রয়েছেন, তাঁদের কাছাকাছি এমন স্কুলের বদলি করা হোক, যেখানে শিক্ষক সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। পড়ুয়া স্বার্থেই এটা দ্রুত কার্যকর করা উচিত বলে তাঁদের দাবি।