সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
পুজোয় অনুদান বিতর্কের সূত্রপাত ২০১৮ সালে। সরকার সেবার বলেছিল, সেভ লাইফ, সেফ ড্রাইভ প্রকল্পে ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়া হয়েছে। সেই বিতর্ক এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিবেচনাধীন। সেবার টাকার অঙ্ক ছিল ১০ হাজার। পরের বছর তা বেড়ে হয় ২৫ হাজার। এবার ৫০ হাজার করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করে রাজ্য। সেই সূত্রে কলকাতা হাইকোর্টে দু’টি জনস্বার্থ মামলা হয়। তার একটি করেছিলেন সৌরভ দত্ত নামে এক ব্যক্তি। ওই মামলার শুনানিতে আদালত এদিন বলেছে, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইন অনুযায়ী মাস্ক না পরে বাইরে বেরনোকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও বহু মানুষ তা মানছেন না। পুজোয় তাঁদের মাস্ক পরানোর নিশ্চয়তা কে দেবে? সেই সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, অনুদানের টাকা দেওয়ার সময় যে ঘোষণা করা হচ্ছে, তার সঙ্গে বিজ্ঞপ্তির মিল পাওয়া যাচ্ছে না। বস্তুত, এই কারণেই এবার অনুদান খরচে আদালত কড়া শর্ত আরোপ করল বলে মনে করা হচ্ছে। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ওই অর্থের সিংহভাগই খরচ করতে হবে মাস্ক, স্যানিটাইজার ও হ্যান্ডওয়াশ কেনার জন্য। সেই খরচের পাকা রসিদ জেলার ক্ষেত্রে সাব ডিভিশনাল অফিসার ও মহানগরীতে কলকাতা পুলিসের পার্সোনেল বিভাগে জমা করতে হবে। সেই হিসাবের অডিট বা পরীক্ষা করা রিপোর্টও পেশ করতে হবে আদালতে। পুজোয় ছুটি থাকবে হাইকোর্ট। তার পরেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত রায় দেওয়া হবে। এবং এমনভাবে সেই রায় দেওয়া হবে, যাতে বারবার এই বিতর্কের জল আদালতে না আসে। এমনটাই জানিয়েছে দুই বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ ।
এদিন আদালতে মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী ছিলেন বিকাশ ভট্টাচার্য ও শামিম আহমেদ। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে কোনও একক ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করা যায় না। জবাবে রাজ্য জানায়, ক্লাবগুলি মাস্ক, স্যানিটাইজার ও হ্যান্ডওয়াশ পর্যাপ্ত পরিমাণে কিনে যাতে কোভিড মোকাবিলায় ব্যবহার করতে পারে, তার জন্যই টাকা দেওয়া হচ্ছে। সরকার নিজেই তা কিনে দিলে খরচ কম হত বলে অভিমত দেয় বেঞ্চ। কিন্তু, অধিকাংশ ক্লাবকে ইতিমধ্যেই অনুদান দেওয়া হয়ে গিয়েছে জানার পর বেঞ্চ সেই খরচের হিসাব পেশ করতে বলেছে। পাশাপাশি জানিয়েছে, মোট টাকার ৭৫ শতাংশ খরচ করতে হবে মাস্ক ইত্যাদির ক্রয়ে। বাকি ২৫ শতাংশ অর্থ সম্পর্কে অন্তর্বর্তী রায়ে বলা হয়েছে, পুলিস ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার বন্ধন জোরদার করতে তা খরচ করা যাবে। মহিলাদেরও সেই উদ্যোগে সামিল করতে হবে। গানবাজনা, ফূর্তির জন্য কোনও খরচ করা যাবে না। প্রসঙ্গত, কলকাতার তিন হাজার ছাড়া রাজ্যের মোট ৩৪ হাজার পুজোর সংগঠকদের এই খাতে ১৭০ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে।