পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন পাঠনে পরিশ্রমী হলে ... বিশদ
এলাকায় কেউ সর্দি-কাশিতে ভুগছেন শুনলেই তিনি করোনায় আক্রান্ত
ধরে নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় থানায় ফোন করছেন। আর এমন খবর এলেই ওই ব্যক্তির বাড়ি বা ফ্ল্যাটে ছুটে যেতে হচ্ছে পুলিসকর্মীদের। অসুস্থকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হচ্ছে তাঁদের। অ্যাম্বুলেন্স না মেলায় অনেক সময় পুলিসের গাড়িতেও নিয়ে যেতে হচ্ছে। একইসঙ্গে এলাকায় বিদেশ থেকে কেউ করোনা নিয়ে এসেছেন কি না, তা নিয়েও খোঁজখবর চালাতে হচ্ছে। চোরডাকাত ধরা যাঁদের কাজ, তাঁরাই এখন ব্যস্ত করোনা রোগী খুঁজে বেড়াতে। রাস্তাঘাটে টহলদারিও চালাতে হচ্ছে। যাতে লকডাউনকে উপেক্ষা করে কেউ বাইরে বেরিয়ে না পড়েন। সুরক্ষা ছাড়াই এইসব ডিউটি করায় তাঁদের জীবনের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। বেশিরভাগ পুলিসকর্মীই ডিউটি করছেন ভয়ে ভয়ে। করোনা সংক্রমণের খবর যে এলাকা বা বাড়ি থেকে এসেছে, সেখানে যেতে চাইছেন না নিচুতলার অনেক পুলিসকর্মীই। কোনও রকম সুরক্ষা ছাড়াই সংক্রামিত ব্যক্তির কাছে যাওয়ায় পুলিস টিমেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।
অসুবিধার কথা কানে গিয়েছে রাজ্য পুলিসের শীর্ষকর্তাদের। এই পরিস্থিতিতে পুলিসকর্মীদের সুরক্ষায় কী কী প্রয়োজন এবং কোথায় কোথায় ঘাটতি রয়েছে, তার পর্যালোচনা করা হয়। বিভিন্ন জেলা ঘুরে সাধারণ পুলিসকর্মীদের সঙ্গেও কথাও বলছেন আধিকারিকরা। সেখানে বারবার উঠে এসেছে রাস্তায় ডিউটিরত বা করোনা আক্রান্তকে উদ্ধারে যাওয়া টিমের জন্য বিশেষ জ্যাকেট থাকলে ভালো হয়। যাতে কর্মীরা নিরাপদ থাকতে পারেন। এরপরই নির্দেশ হয় স্বাস্থকর্মীরা করোনা মোকাবিলায় যে ধরনের জ্যাকেট পরে ডিউটি করছেন, পুলিসের জন্যও তা কেনা হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ হয় সমস্ত ইউনিটে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ জেলাতেই এই জ্যাকেট কেনা হয়ে গিয়েছে। আপাতত সমস্যা মোকাবিলায় বড় থানা বা ইউনিটে দশটির মতো জ্যাকেট রাখা হচ্ছে। ছোট থানাতেও এই জ্যাকেট থাকবে। যাতে পুলিসকর্মীরা কোনও সমস্যায় না পড়েন। আগামী দিনে এর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানা গিয়েছে।