সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
দেওয়াল থেকে ব্যানার— লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পই কাঙ্খিত সাফল্য এনে দেবে বলে ‘বিশ্বাস’ তৃণমূলের। বলা বাহুল্য, মহিলা ভোটকে টার্গেট করেই হাওড়ায় ‘অল আউট’ ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। বিভিন্ন এলাকায় দেওয়াল জুড়ে শুধুই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রচার। অন্যান্য রাজনৈতিক ইস্যু চলে গিয়েছে পিছনের সারিতে। তৃণমূল কর্মীদের একাংশ বলছে, রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জনপ্রিয়তা ব্যাপক। বিধানসভা ভোটের আগে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া কথা অনুযায়ী লোকসভার আগেই দ্বিগুণ হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকার অঙ্ক। তাই এই জনমুখী প্রকল্পই তৃণমূলের কাছে তুরুপের তাস।
কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও শঙ্কার মেঘ কাটছে না নিচুতলার কর্মীদের। কত লিড হবে? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে তাঁদের মাথায়। চিন্তা যে অমূলক নয়, তার প্রমাণ বেশ কিছু রাজনৈতিক সমীকরণ। বিধানসভা ভোটের পর অনেক জায়গায় তৃণমূলের সংগঠনে রদবদল হয়েছে। লোকসভার মতো বড় ভোটের ক্ষেত্রে সেই সংগঠন পরীক্ষিত নয়। এমন অনেকেই দায়িত্ব পেয়েছেন, যাঁদের সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা নেই। কর্মীদের একাংশ বলছে, সব থেকে বড় সমস্যা পুর নির্বাচন না হওয়া। প্রচারে বিভিন্ন জায়গায় এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে কর্মীদের। এছাড়াও সামগ্রিকভাবে হাওড়ায় একাধিক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া, শহরের অনুন্নত পরিকাঠামো ইত্যাদি ইস্যুর কারণে প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট বাড়তে পারে। ফলে তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান ধাক্কা খেতে পারে। গত নির্বাচনে যেখানে এক লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে এবার আশপাশে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করছেন তাঁরা। কিন্তু কত কমবে? এই প্রশ্ন নিয়ে নানা মুনির নানা মত।
তবে রাজনীতির লড়াইয়ে বিজেপি বা সিপিএম প্রার্থী এসব ইস্যুকে হাতিয়ার করে ভোটদাতাদের প্রভাবিত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিরোধীদের এই আক্রমণের পাল্টা যুক্তি সাজিয়ে যেভাবে প্রতি আক্রমণে যাওয়া উচিত প্রসূনের, তার ধারে কাছে যেতে পারছেন না তিনি। কারণ তিনি ‘বক্তা’ হিসেবে মোটেই সাবলীল নন। মাইক ধরলেও তাঁর মুখে বিরোধীদের চাঁছাছোলা সমালোচনা কিংবা তথ্যনির্ভর বক্তব্য শোনা যায় না। যা দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, তৃণমূলের সংগঠনের উপরই নির্ভর করছে তৃণমূলের জয়-পরাজয়। ভোটের আগে প্রসূন কি ‘বক্তা’ হয়ে জনমত গঠন করতে পারবেন? গুঞ্জন রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে।