রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
গত পাঁচ বছরের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তহবিল থেকে তুলনামূলক কম টাকা বরাদ্দ হয়েছে হরিপাল বিধানসভা এলাকার জন্য। বাম-বিজেপি সহ বিরোধীদের অভিযোগ, হরিপাল বিধানসভার মানুষের সমস্যার কথা বিদায়ী সাংসদ লোকসভায় কখনও তুলে ধরেননি। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে হরিপাল বিধানসভায় বিজেপির সংগঠন দুর্বল। এক সময়ের লাল দুর্গ হরিপালে এখন ঘাসফুলেরই রমরমা। এই আবহে ইতিমধ্যে একবার হরিপালে প্রচার করে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগ। বিজেপি ও সিপিএম বেশ কয়েক দফায় প্রচার করেছে হরিপালে।
বছরের প্রথম দিন, রবিবার হরিপালে প্রচারে এসে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী বিপ্লব মৈত্র বলেন, ‘হরিপালের মানুষ তাঁদের অনেক সমস্যার কথা বলছেন আমাদের। বহু মানুষ সরকারি ঘর পাননি। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হয় এখানে। হাসপাতালের নতুন ভবন হলেও পরিষেবা সেই তিমিরেই। আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। মানুষ বিপদে পড়লে বুঝতে পারে, বাহ্যিক উন্নয়ন দেখানো হলেও ভিতরে কোনও পরিকাঠামো নেই।’ তিনি আরও বলেন, হরিপালে সবথেকে বেশি প্রয়োজন একটি বাসস্ট্যান্ড। তাও তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ বহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কোনওটাই বাস্তবায়িত হয়নি। আমার এলাকায় ওঁকে বছরে একবার রক্তদান শিবিরে দেখতাম। আর দেখতাম টিভিতে টাকা নিতে। বেকারদের কর্মসংস্থানের প্রয়োজন। মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে মানুষকে ভোলানো যায় না। বিপুল ভোটে জয়ী হবে সিপিএম।’ একই অভিযোগ বিজেপির। দুর্নীতি, একনায়কতন্ত্র, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ ও কেন্দ্রের বিভিন্ন পরিষেবাকে সামনে রেখে প্রচার করছে গেরুয়া শিবির।
বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক করবী মান্না বলেন, ‘হরিপালে বিরোধী বলেই কিছু নেই। এই এলাকায় যা উন্নয়ন হয়েছে, সে বিষয়ে কথা বলার মতো জায়গা পাচ্ছেনা বিরোধীরা। রাস্তা, আলো, জল প্রত্যেকের দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছে। হাসপাতাল সহ সমস্ত পরিষেবার ধীরে ধীরে উন্নয়ন হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী প্রথম পর্যায়ে একবার প্রচারে এসেছিলেন হরিপালে। ১৯ এপ্রিল থেকে বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু হচ্ছে। ২১ এপ্রিল হরিপালে প্রচারে থাকবেন প্রার্থী নিজেই।’ তাঁর দাবি, আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে হরিপাল বিধানসভা থেকেই সবথেকে বেশি ভোটে এগিয়ে থাকবেন জোড়াফুলের প্রার্থী।