রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
কিন্তু সিএএ কার্যকর করতে একাধিক শর্ত আরোপ করেছে বিজেপি সরকার। আর এতেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে মতুয়াদের মধ্যে। এজন্য এবার সিএএ ইস্যুই গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে বিজেপির কাছে। সিএএ চালু হওয়ার পর ভোট প্রচারে বিজেপির প্রধান ইস্যু হয়ে ওঠে নাগরিকত্ব আইন পাস। এই আইনে মতুয়াদের একাংশ আনন্দে আত্মহারা হলেও অনেক মতুয়া আতঙ্কিতও। সিএএ’র প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলেছে। সিএএ আতঙ্কে ঘটেছে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও। আর মতুয়াদের এই ক্ষোভে একপ্রকার ঘি ঢেলে দেয় তৃণমূল। তৃণমূল মতুয়াদের বোঝাতে থাকে, সিএএ আবেদন করলেই নাগরিকত্ব চলে যাবে! নাগরিকত্বের জন্য আবেদন না করারই পরামর্শ দেয় তারা। সিএএ’র প্রতিবাদে দিকে দিকে প্রতিবাদ গড়ে তোলেন মতুয়ারা। একদিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধ প্রচার, অন্যদিকে মতুয়াদের আন্দোলন। দু’য়ে মিলে কিছুটা হলেও কোণঠাসা বিজেপির সিএএ ইস্যু। বিজেপির ভোট প্রচারেও সিএএ নিয়ে সেভাবে নেতাদের প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে না।
সিএএ’র প্রচারে কিছুটা ভাটা পড়ায় ভোটের ময়দানে অনেকটাই সাবধানী বিজেপি। যতই দিন যাচ্ছে ততই কমছে সিএএ নিয়ে প্রচার। মতুয়া মন পেতে সংযমী আচরণ করতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির নেতাদের। যদিও সিএএ নিয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, সিএএ নিয়ে মিথ্যা রাজনীতি করছে তৃণমূল। মতুয়ারা জানেন, বিজেপি তাঁদের নাগরিকত্ব দিয়েছে। তৃণমূলের অপপ্রচারে কান দেবেন না মতুয়ারা। এবিষয়ে মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর বলেন, বিজেপি বুঝতে পেরেছে, সিএএ গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে। সিএএ নিয়ে যত বলবে, ততই ওদের ভোট কমবে। তাই ভোটপ্রচারে সিএএ নিয়ে পিছু হটছে ওরা। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের কার্যকরী সভাপতি শচীন সরকার বলেন, আমরা এই সিএএ মানি না। আমরা কেউ আবেদন করব না। আমরা নিঃশর্ত নাগরিকত্ব চাই। অন্যদিকে, বুধবার বনগাঁ শহরে রামনবমী উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রার আয়োজন করে তৃণমূল। তাতে অংশ নেন তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস ও স্থানীয় নেতৃত্ব।