Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
রামচন্দ্র তো একেবারেই ক্ষত্রিয় বংশের। মাছ, মাংস কিংবা সুরা তাঁর বাদ থাকবে কেন? খাওয়ার ব্যাপারে রাম ছিলেন রীতিমতো সুরসিক। ভালো ভালো রাঁধিয়েরা রামের কাছে রান্নার তারিফ শোনার জন্য ‘আমি রাঁধব, আমি রাঁধব’ বলে সুস্বাদু পান-ভোজন প্রস্তুত করতেন— অহংপূর্বাঃ পচস্তি স্ম প্রশস্তং পান-ভোজনম্। মুশকিলটা ভক্তদের নিয়ে। তাঁরা রাম কিংবা কৃষ্ণকে প্রীত করার জন্য উপাসকের বিধি মেনে ত্যাগ-বৈরাগ্যের মাধ্যমে নিরামিষ আহার করে শরীর শুদ্ধ করেন— এটাই নাকি ভক্তভাব।
অথচ, বিশিষ্ট পুরাণ বিশেষজ্ঞ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর কথায়, ‘বনবাসের প্রথম দিকে অরণ্য-প্রকৃতির মাধুর্য রামচন্দ্রকে রাজভোগ ভুলিয়ে দিলেও মাংস খাওয়া ভোলাতে পারেনি। বনবাসের প্রথম দু-তিন দিনের রাত্রি শুধু জল খেয়েই কাটিয়ে দিয়েছিলেন— সেটা অভিমানবশত, না অন্য কারণে— বাল্মীকি তা স্পষ্ট করে বলেননি। কিন্তু বনবাসের তৃতীয় দিনে সুমন্ত্র সারথি আর গুহককে বিদায় দিয়ে যেই না রামচন্দ্র গঙ্গাপারের অরণ্যসঙ্কুল ভূমিখণ্ডে পৌঁছান, তখনই খিদের চোটে আগে তিন রকমের হরিণ আর একটি শুয়োর মেরে ফেলেছিলেন— তৌ তত্র হত্বা চতুরো মহামৃগান্ বরাহমৃষ্যং পৃষতং মহারুরুম্। আদায় মেধ্যং ত্বরিতং বুভুক্ষিতৌ। খিদে বেশি লাগলে খাবারের জোগাড় কম থাকলে ভালো লাগে না— এই মনস্তত্ত্ব থেকেই হয়তো তিনজনের জন্য চারটে গোটা পশু মেরে ফেলেছিলেন দুই ভাই। কিন্তু পুরোটা তাঁরা খেতে পেরেছিলেন কি না, সে তথ্য আমরা বাল্মীকির কাছে পাইনি। ...দু’ভাই সীতাকে নিয়ে যেদিন চিত্রকূটে বাল্মীকির আশ্রমে পৌঁছলেন, সে দিনটা ছিল বনবাসের পঞ্চম দিন। জায়গাটাও রামের ভারী পছন্দ এবং তৎক্ষণাৎ লক্ষ্মণকে ডেকে তিনি বললেন কাঠ-পাতা দিয়ে একটি পর্ণকুটির তৈরি করতে। পর্ণকুটির তৈরি হলে সেই বনবাসের মধ্যেও রামের ইচ্ছে হল সামান্য একটি গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠান করতে। কিন্তু এই অনুষ্ঠানের প্রথম অঙ্গ হিসেবে রাম ছোট ভাইকে বললেন— একটা হরিণ মেরে আনো আগে— মৃগং হত্বানয় শীঘ্রম্। হরিণের মাংস দিয়েই আজ আমাদের বাস্তুপূজা সারতে হবে— ঐণেয়ং মাংসমাহৃত্য শালাং যক্ষ্যামহে বয়ম্।’ এসব তথ্য তো বাল্মীকির রামায়ণে লিপিবদ্ধ রয়েছে। রামভক্তরা কি তা জানেন?
এ দেশে আমিষ-নিরামিষের বৈচিত্র্যের রসায়ন দীর্ঘদিন ধরেই প্রচলিত। যে বাড়ির খাওয়া-দাওয়া মূলত আমিষ ঘরানার, সেখানেও সপ্তাহে একদিন কি দু-দিন নিরামিষ হয়। যাঁরা একান্তই নিরামিষ খান, তাঁরা ভুলেও আমিষের পথ মাড়ান না। খাবারের ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই এই স্বাধীনতা থাকা উচিত। এ নিয়ে কেউ কোনওদিন বিরোধিতাও করেনি। তবে, সম্প্রতি আমিষ এবং নিরামিষ দ্বন্দ্বের যে মাত্রা স্পর্শ করেছে, তা আদতে জাতভিত্তিক সমাজের ভাগাভাগির ফাটলকেই নতুন করে চিহ্নিত করছে। আর তাকে উস্কে দিচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজেই। সম্প্রতি ভোট প্রচারে নবরাত্রির সময় বা শ্রাবণ মাসে মাছ-মাংস খাওয়া বা তার ভিডিও নেট-দুনিয়ায় দেওয়াকে ‘মোগলদের মানসিকতা’ বলে আক্রমণ করেছেন মোদি। প্রশ্ন উঠেছে, নবরাত্রি, শ্রাবণ মাসে দেশের একাংশের হিন্দুরা নিরামিষ খান বলে তাঁদের রুচি-পছন্দ মেনে বাকি অংশের মানুষকেও নিরামিষ খেতে হবে বা লুকিয়ে মাছ-মাংস খেতে হবে? ফেসবুক-টুইটারে প্রশ্ন উঠেছে, এরপরে কি দুর্গাপুজোর সময় মাংস খেয়ে ছবি দিলে সেটাও ‘মোগল মানসিকতা’ বলে নিন্দিত হবে? নাকি গোটা দেশের খাদ্য, পরিধান, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য মুছে দিয়ে মোদিজি সকলের উপরে নিজের পছন্দমাফিক রুচি-অভ্যাস চাপিয়ে দিতে চাইছেন? গুজরাতি সংস্কৃতি বাংলা মানবে কেন?
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং গুজরাতে নিরামিষাশীরা জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের বেশি। বাকি গোটা দেশেই আমিষভোজীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলের ৯৯ শতাংশই তো মাছ-মাংস বা ডিম খান। মনে হতেই পারে, পশ্চিম আর উত্তর-পশ্চিম ভারত কেমন যেন একদিকে আর এ দেশের বাকি রাজ্যগুলি বিপরীতে। তা সত্ত্বেও হিন্দুত্ববাদীরা ভারতে নিরামিষভোজীদের সংখ্যাগুরু বলে দাবি করে চলেছে। গেরুয়া শিবির আমিষাশীদের নিম্নবর্ণ কিংবা অহিন্দু বলে দেখাতে চায়। তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রশ্রয়েই নব নব রূপে ছুতমার্গের প্রকাশ ঘটছে। আমিষ-স্পর্শ বর্জন তেমনই রূপ। ‘আমিষ পরিহার’ থেকে কিছু অবিবেচক মানুষকে ‘আমিষাশী পরিহার’-এর দিকে কত সহজে ঠেলে দেওয়া যায়, গোরক্ষকদের তাণ্ডবেই তা প্রমাণিত। ২০১২-২০২৩ সময়কালে আশিরও বেশি ভারতীয় মহিষ বা আর কোনও মাংস আহারের জন্য খুন হয়েছেন। শিশুদের প্রোটিনের অভাব সত্ত্বেও বহু রাজ্যে স্কুলগুলি ঝুঁকছে নিরামিষের দিকে। দলিত মেয়েদের রান্না খেতে আপত্তি উঠছে।
মহম্মদ আখলাককে যেদিন ‘গোমাংস ভক্ষণকারী’ বলে পিটিয়ে মারা হয়েছিল, আমরা ভেবেছিলাম ব্যাপারটা ‘গোমাতা’ ও ‘বিধর্মী’কেন্দ্রিক। আসলে বিক্ষিপ্ত শক্তি দেখানোর সেটা ছিল শুরুয়াত। আখলাকের খুনিদের হাত লম্বা হতে হতে ‘সমধর্মী’-দের টুঁটিও চেপে ধরছে। আমিষ খাওয়াকে গো-বলয় আগেই অপরাধ সাব্যস্ত করেছিল। এখন গোটা ভারতেই ‘নিষেধাজ্ঞা’র চাপ। প্রস্তুতি চলছিলই— জাতীয় গ্রন্থাগারের প্রদর্শনীতে আমিষ নিষেধ, গান্ধীজির জন্মদিনকে ‘নিরামিষ দিবস’ বলে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ভারতীয় রেলে আমিষ বন্ধ রাখার চেষ্টা। এই আমিষবিদ্বেষীর দল যখন যে রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছে, নিরামিষের দাবিতে হয়েছে জবরদস্তি। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও দিল্লির কিছু এলাকায় নবরাত্রিতে মাংস বিক্রি বন্ধের ফরমান জারি হয়েছে। আমেদাবাদের পথে এবং স্কুল ও ধর্মস্থানের কাছে সব মাংসের দোকান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গুরুগ্রামে বিশেষ দিনে মাংস বিক্রি নিষেধ। বরোদা, রাজকোটে মাংস বিক্রি করতে হলে তা লুকিয়ে করার ফরমান দেওয়া হয়েছে। নিরামিষ ‘আগ্রাসন’ থেকে বাদ যায়নি শিশুরাও। ১২টি রাজ্যে মিড-ডে মিলে ডিম বাদ। পরিকল্পিতভাবেই আমিষবিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বলা হচ্ছে— আমিষ নাকি মানুষকে হিংস্র বানায়!
বোঝা যায়, এই কঠোর রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শুধু একটি ধর্মকেন্দ্রিক কট্টর মতবাদের পরিচয়ই দেয় না, এর পিছনে আছে কিছু গোঁড়া উচ্চবর্ণ হিন্দু সম্প্রদায়ের আধিপত্য। সঙ্গে বেড়েছে অসহিষ্ণুতাও। মনোবিজ্ঞানী ভিক্টর ফ্র্যাঙ্কল দেখিয়েছিলেন, মানুষের ভিতরে একটা সুপ্ত ফ্যাসিবাদী মানসিকতা থাকে, বিভিন্ন সময় কেউ একটা তাকে জাগিয়ে তোলে। ঠিক যেমন, আগ্রাসী হিন্দুত্ব আজ দেশের মানুষের একটা বড় অংশের কাছে কাঙ্ক্ষিত। একদিকে নিজেকে নিপীড়িত মনে করা ও অন্যদিকে নিজেদের অস্বাভাবিক মূল্যবান ভাবার প্রবণতা— এই দু’টি হল ফ্যাসিবাদী চিন্তার দুই স্তম্ভ। বহু হিন্দুর মজ্জায় মজ্জায় এই মানসিকতার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই কারণেই গোরক্ষাকে কেন্দ্র করে গণপ্রহার, এমনকী হত্যাকাণ্ডের পরে অল্প কিছু উদার মনোভাবাপন্ন নাগরিক প্রতিবাদ করেছেন বটে, কিন্তু তাতে বিশেষ ফল হয়নি। দেশজুড়ে এক গা-ছমছমে নীরবতা বহাল থেকেছে। নিজের রুচি ও পছন্দ মাফিক খাওয়ার অধিকার সংবিধানে স্বীকৃত— এ সব তথ্য ও যুক্তি হিন্দুদের একটা বড় অংশের কাছে অর্থহীন।
সেই তথাকথিত হিন্দুরা কি বাল্মীকির লেখা পড়েছেন? বাল্মীকি জানাচ্ছেন, ‘চিত্রকূট পাহাড়ের এক জায়গায় বসে পাহাড়-ছোঁয়া মন্দাকিনীর তরঙ্গশোভা দেখাতে দেখাতে রামচন্দ্র যে বিষয়ে সীতাকে প্রলোভিত করে তুলতে চাইছিলেন, সেটা কিন্তু সেই হরিণের মাংস— সীতাং মাংসেন ছন্দয়ন্। সীতা বোধ হয় আর খেতে চাইছিলেন না। রাম বললেন— একটু খেয়েই দেখো না। ইদং মেধ্যম্, ইদং স্বাদু।’ হিন্দুধর্মের স্বঘোষিত রক্ষাকারীদের জানা প্রয়োজন, হিন্দুধর্মে কখনওই কারও উপর খাদ্যাভ্যাস জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়নি! সাধারণত বৈষ্ণব শাস্ত্রে অহিংসাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর শাক্ত ও শৈবদের শাস্ত্রে আমিষাহারকে সমর্থন জানানো হয়েছে। পূজার আবশ্যকীয় অঙ্গরূপে বলিদান করতে বলা হয়েছে। বৈদিক যুগে বলিদান ও সোমরসপান যজ্ঞের আবশ্যকীয় অঙ্গ ছিল। রামচন্দ্র ও কৃষ্ণ উভয়েই মাংসাহারী ছিলেন। মহাবীর ও বুদ্ধ‌ও তাই। ভারতীয় ইতিহাসের গবেষকদের মতে, মূলত বৌদ্ধ ও জৈনধর্মের প্রভাবে ভারতীয় সমাজে সপ্তম-অষ্টম শতক থেকে অহিংসাকে অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আধুনিক বৈষ্ণবধর্ম বৌদ্ধ অহিংসার দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত। কিন্তু অন্যান্য শাখায় নিরামিষাহারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি! হিন্দু ধর্ম বরাবর বহুত্বে বিশ্বাস করে এসেছে। কিন্তু মোদি জমানায় তাকে একটি সঙ্কীর্ণ একরূপী অভিন্ন ব্র্যান্ড-এ পরিণত করা হচ্ছে। লক্ষ্য করুন, গেরুয়া ভক্তরা এখন নিজেদের ‘পিওর ভেজিটেরিয়ান’ বলে গর্ব অনুভব করেন। অথচ, এই শব্দবন্ধটির মধ্যেই ছুতমার্গের দ্যোতনা রয়েছে। ইংরেজির ‘পিওর’ শব্দটির অর্থ ‘পবিত্র’। এর অর্থ, ‘পিওর ভেজিটেরিয়ান’ শব্দের প্রয়োগ আসলে আমিষাশীকে ‘অপবিত্র’ বলে চিহ্নিত করার কৌশল!
ভিক্টর উলরিখ তাঁর সম্প্রতি প্রকাশিত ‘হিটলার: অ্যাসেন্ট’ নামে জীবনীগ্রন্থে দেখিয়েছেন, একনায়কের কদর্য বক্তৃতা এবং মতামতগুলি রীতিমতো পরিকল্পনা করেই তৈরি করা হতো, যাতে সংবাদমাধ্যমের নজর কাড়া যায়, জাগিয়ে তোলা যায় জনতার বিপুল প্রতিক্রিয়া। মোদিজি কি আমিষ ভক্ষণকারীদের ‘মোগলদের মানসিকতা’ বলে কোনও নজর কাড়তে পারলেন? নিরামিষাশী জনগণকে কি আমিষাশীদের বিরুদ্ধে জাগিয়ে তুলতে পারলেন? গুজরাত, রাজস্থানের মতো বাংলায় কি তা সম্ভব? বাঙালিরা তো ‘আপ রুচি খানা’-তেই বিশ্বাসী!
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
একনজরে
প্রথম দফার ভোটে প্রচার পর্ব শেষ হয়েছে বুধবার বিকেলেই। অথচ পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। অদ্ভুতভাবে বাংলার প্রথম দফার ভোটে ব্রাত্য রইলেন হিন্দুত্বের ‘পোস্টার বয়’ যোগী আদিত্যনাথ। ...

নির্বাচনী কাজে চরম ব্যস্ততা রয়েছে পুলিসের। এছাড়া ভোট আবহে নিত্যদিন বিভিন্ন সভা থেকে মিছিলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সহ নাকা চেকিংয়ে চরম ব্যস্ত পুলিস-প্রশাসন ...

১৩ দিনে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে চারটি জনসভা ও  একটি রোড শো করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সভা করে গিয়েছেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক ...

এরাজ্যে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রথম কারখানা খুলবে মাদার ডেয়ারি। তা থেকে সরাসরি কর্মসংস্থান হতে পারে প্রায় ৪০০। কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

10:48:50 PM