রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
রত্না ঘোষকে নতুন করে তৃণমূলের বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। চাকদহের এই প্রাক্তন বিধায়ককে গত বিধানসভা ভোটে টিকিট দেওয়া হয়নি। এজন্য তিনি প্রকাশ্যেই ক্ষোভ জানান। পরে তাঁকে দলের জেলা সভাপতি করা হয়। বছরখানেক পর সেই পদ থেকেও তাঁকে সরানো হয়। সেখানে দলে ক্রমশ শক্তিশালী হন তাঁর বিরোধী শিবিরের নেতারা। এরপর থেকে তিনি দলে ক্রমশ নিষ্ক্রিয় হয়ে যান।
হরিণঘাটার প্রাক্তন ব্লক সভাপতি পোড়-খাওয়া নেতা চঞ্চল দেবনাথও একসময় দলের সংগঠন সামলেছেন। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর ঘনিষ্ঠ একাধিক জেলার নেতাকে ছেঁটে ফেলে দল। সেইসময় বাদ যায় চঞ্চল দেবনাথ ও অরূপ মুখোপাধ্যায়ের নাম। তাঁদের দু’জনকেই লোকসভা নির্বাচন কমিটির সদস্য করা হয়েছে। চঞ্চল দেবনাথ জেলা পরিষদের দু’বারে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি বিরোধী দলনেতা এবং পূর্ত কর্মাধ্যক্ষেরও দায়িত্ব সামলেছেন একবার। কিন্তু পরে দল তাঁকে ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরায় এবং পঞ্চায়েত ভোটেও টিকিট দেয়নি। পরিবর্তে তারই একদা ঘনিষ্ঠ দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে জেলা সভাপতি করা হয়। সেই সময় চঞ্চলবাবু নিষ্ক্রিয় হয়ে যান।
অন্যদিকে, কল্যাণী শহরকে নিজের হাতের তালুর মতো চেনা প্রাক্তন শহর সভাপতি অরূপ মুখোপাধ্যায়কেও পদ থেকে সরানো হয়। সেই জায়গায় আসেন তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত বিপ্লব দে। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই অরূপবাবু দলের টিকিটে কাউন্সিলার ও পরবর্তীকালে পুরসভার সিআইসি সদস্য হয়ে যান। পদ চলে যাওয়ার পর সম্প্রতিককালে তাঁকে নিজের ওয়ার্ডের বাইরে সক্রিয় রাজনীতিতে আর সেভাবে দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু নতুনভাবে তাঁকে নির্বাচন কমিটিতে রাখার পাশাপাশি দলের তরফে শহরের ছ’টি ওয়ার্ডেও নির্বাচনী কাজ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, দল প্রবীণ নেতাদের সবসময়ই গুরুত্ব দিয়েছে। তাঁরা জেলা কমিটিতেও ছিলেন। নির্বাচন কমিটিতেও তাঁদের রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা নবীন প্রজন্মকেও কমিটিতে রেখেছি।