উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, সোমবার হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে ওই প্রৌঢ়কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তাঁকে আইসোলেশন থেকে পুরুষ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। ওই প্রৌঢ়ের ছেলের শ্যামল বসাক বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, রাত দেড়টার পর বাবাকে ওই বেডে দেখা যায়নি। অথচ, আমাদের কিছু জানানো হয়নি। সকালে আমি, মা এসে বাবাকে বেডে দেখতে না পেয়ে বিষয়টি জানতে পারি। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলি, সিসিটিভির ফুটেজ দেখতে। কিন্তু ওরা সিসি ক্যামেরা দেখতে চায়নি। নিরাপত্তা রক্ষীরাও কোনও সাহায্য করেননি। এরপর দুপুর দেড়টা নাগাদ আউটডোর থেকে বলা হয়, একজনের দেহ হাসপাতালের পিছনের দিকে গেটের বাইরে পড়ে রয়েছে। যেন আমরা গিয়ে শনাক্ত করি। আমরা গিয়ে দেখি, জলের কলের সামনে পড়ে রয়েছেন বাবা। দেখে মা জ্ঞান হারান। এরপর বাবাকে হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। পুলিস এসে হাসপাতালের বাইরে গেটে থাকা একটি পানের দোকানে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, ওই প্রৌঢ় জলের কল জল খান। তারপরই একটু দাঁড়িয়েই মাটিতে পড়ে যান এবং অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তখন আশপাশের লোকজন হাসপাতালে খবর দেয়।
শ্যামলবাবুর কথায়, বাবা হার্টের রোগী। এক রোগী হাসপাতালের ভিতর থেকে বেরিয়ে গেল, অথচ কেউই নজর রাখল না! হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরা কোথায়? কী করছিলেন তাঁরা? ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানো থাকলেও তা দিয়ে কোনও নজরদারি রাখা হল না কেন? হাসপাতালের গাফিলতির জন্য বাবার মৃত্যু হয়েছে।