নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: এক প্রৌঢ়কে গলার নলি কেটে এবং পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুনের অভিযোগ উঠল। সোমবার ঘরের ভিতর থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিস জানিয়েছে, নিহতের নাম দুর্গালাল সাউ (৫৮)। তিনি পেশায় নৈহাটি জুটমিলের কর্মী। হালিশহর পুরসভার অন্তর্গত নৈহাটির হাজিনগরের শুঁটকিপাড়ার এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই প্রৌঢ় কোথায় যেতেন, কার সঙ্গে মিশতেন, কারও সঙ্গে সাম্প্রতিককালে কোনও শত্রুতা হয়েছিল কি না, সবকিছুই খতিয়ে দেখছে নৈহাটি থানার পুলিস। ওই প্রৌঢ়ের ঘর থেকে বাইরে বেরনোর রাস্তায় রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে। তাতেই তদন্তকারীরা নিশ্চিত, প্রৌঢ়কে খুন করার পর আততায়ীরা ওই রাস্তা দিয়ে পালিয়েছে। ওই প্রৌঢ়ের স্ত্রী ও দুই ছেলে পুনেতে থাকেন। তাঁদের খবর দেওয়া হয়েছে। ওই প্রৌঢ়ের বাড়িওয়ালি নির্মলা গোস্বামী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই সাউ দম্পতি আমাদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। লকডাউন শুরুর আগে বড় ছেলে এসে মা ও ভাইকে নিজের কাছে কয়েকদিনের জন্য ঘুরতে নিয়ে যান। তারপর লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় ওই দু’জন নৈহাটিতে ফিরতে পারেননি।’ পুলিস প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, ওই প্রৌঢ় সামান্য নেশা করতেন। কিন্তু কাউকে কোনওরকম বিরক্ত করতেন না। নির্মলাদেবী বললেন, ‘দীর্ঘদিনের এই ভাড়াটিয়াকে নিয়ে আমার কোনও অভিযোগ নেই।’
পুলিস জানিয়েছে, সকালে ওই প্রৌঢ়ের এক বন্ধু তাঁকে ডাকতে আসেন। বাইরে থেকে দু’বার ডাকাডাকি করলেও ভিতর থেকে কোনও শব্দ আসেনি। তিনি তখনই বন্ধ দরজা ঠেলা দিয়ে খুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই প্রৌঢ়। গলা এবং পেটের দিক থেকে রক্ত ভেসে যাচ্ছে। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন পড়শিরা।
দুর্গালাল সাউ