ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
আপাতত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য চিৎপুরের নামকরা এক অভিনেত্রীকে বাছা হয়েছে। কাকতালীয় হলেও সেই অভিনেত্রীর নামও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদ সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকায় অভিনয় করবেন যাত্রা অভিনেতা ও ডায়মন্ডহারবার-২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের (সিনিয়র) সভাপতি অরুময় গায়েন। নির্দেশক সঞ্জয় মিত্র বলেন, এই পালায় অধিকাংশ চরিত্র শাসকদলের লোকজন। অবশ্যই যাঁদের পাঁচ থেকে ছ’ বছর যাত্রা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে সেইভাবে বাছা হয়েছে। তিনি জানান, কিছুদিনের মধ্যে অষ্টমী নাট্য সংস্থার ব্যানারে এই পালাটি প্রথম মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে ডায়মন্ডহারবারে। এরপর বিভিন্ন জায়গাতে চাহিদা অনুসারে শো করা হবে।
ডায়মন্ডহারবার ২ নম্বর ব্লক সভাপতি অরুময় গায়েন রাজনীতির পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে যাত্রা করেন। কিন্তু হঠাৎ করে ‘দিদিকে বলো’র মতো রাজনৈতিক বিষয়কে নিয়ে যাত্রা করার ভাবনা কেন এল? এটা কি সব মানুষ গ্রহণ করবে? অরুময়বাবু কথায়, এটা তৃণমূল দলের রাজনৈতিক স্লোগান হলেও আমজনতার সকলের যাতে ভালো হয়, সেই উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এই কর্মসূচি করেছেন। কিন্তু দিদিকে বলো কর্মসূচি করতে গিয়ে আমাদের নানারকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। তা হল, কর্মসূচিতে দলের অনুগতরা ছাড়া বিরোধী মনোভাবাপন্ন মানুষকে টেনে আনা যাচ্ছে না। তাঁদের সকলে মনে করছে এটা তৃণমূলের দলের কর্মসূচি। বাস্তবে তা নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলমত নির্বিশেষে রাজ্যের সকলের অভিভাবক। সেই জায়গা থেকে দিদিকে বলো কর্মসূচি হল সকলের সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি। এটাই সকলের মধ্যে ছড়িয়ে সচেতন করার জন্য এই যাত্রাপালা। তা বোঝাতে যাত্রায় অনেকগুলি দৃশ্য রাখা হয়েছে। যেখানে কারও কোনও জমিগত সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে ঘুরছেন। দিদিকে বলো হেল্প লাইনে ফোন করার পর তড়িঘড়ি থানা থেকে পুলিস গিয়ে সেই জমি দখলমুক্ত করে দিল। এক্ষেত্রে কোন দলের তার কোনও রঙ দেখা হচ্ছে না। এখানে আশা করা যায়, এই যাত্রার মধ্যে দিয়ে দ্রুত সমস্ত স্তরের কাছে দিদিকে বলোর বার্তা পৌঁছে যাবে।