ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
এদিনের অনুষ্ঠানে দিল্লি এবং কলকাতার আইএসআই-এর পড়ুয়ারা হাজির ছিলেন। দিল্লির এক ছাত্র মঞ্চে ডিগ্রি নেওয়ার সময় সাদা ব্যাজ পড়ে উঠেছিলেন। দেশজুড়ে এনআরসি, সিএএ নিয়ে আন্দোলন প্রতিবাদকে সমর্থন জানাতেই এমন ব্যাজ পড়েছেন বলে জানিয়েছেন। যদিও ডিগ্রি পাওয়ার পর তা না দেখিয়ে ছবি তোলা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন একদল পড়ুয়া। প্রিয়মা মজুমদার নামে এক স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ ছাত্রী বলেন, এনআরসি নিয়ে যা প্রতিবাদ হচ্ছে, তার সমর্থনে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ডিগ্রি পাওয়ার পর একটা গ্রুপ ছবি তোলা হয়। আইএসআই-এর তরফেই তা করা হয়। কিন্তু আমরা সেই ছবি তুলতে মানা করে দিই। কাগজ থাকার পরও আমরা তা দেখব না, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাই ডিগ্রি যে ফাইলে করে দেওয়া হয়, তা আমরা উল্টো করে দেখিয়ে নিজেরাই ছবি তুলি। আগামীদিনে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনে যাতে পড়ুয়ারা এমন কিছু করে, তার আবেদনও আমরা করতে পারি।
এদিকে, সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দীক্ষান্ত ভাষণ দিতে এসেছিলেন জোয়াকিম ফ্র্যাঙ্ক। তিনি ২০১৭ সালে কেমিস্ট্রিতে নোবেল পেয়েছিলেন। নিজের বক্তব্যে নাৎসি জার্মানির প্রসঙ্গ যেমন তোলেন, তেমনই বর্তমান বিশ্বের হাল হকিকৎ নিয়েও মতামত ব্যক্ত করেন। নিজের ছাত্রজীবনের সময়কালের সঙ্গে তুলনা টেনে তিনি বলেন, এখনকার সময় খুবই জটিল। তাতে অনেক বাধা এবং চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এমনটা কিন্তু আমার সময় ছিল না। এখন এমন একটা সময়, যখন আমাদের একত্রিত হতে হবে। কিন্তু বহু দেশের নেতাদের নীতি মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের মতো পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে আমরা সমাধান খুঁজছি। কিন্তু বিভিন্ন নীতির কারণে সেই লক্ষ্যে পৌঁছনো যাচ্ছে না। জার্মানির সেই সময়কালের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এই নোবেলজয়ী জানান হিটলারের স্বৈরতান্ত্রিক জমানার অবসানের পর কীভাবে সাধারণ মানুষ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পেরেছিলেন। তাঁর সময়ে কীভাবে ছাত্র আন্দোলনের জেরে রাষ্ট্র তাদের বিধি লাগু করেও পিছু হটতে বাধ্য হয়। ফলে ছাত্রদের আন্দোলনের স্বর সেই সময় যে গুরুত্ব পেয়েছিল, তার জন্য নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করি।