সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় গ্রাহকদের জন্য সরবরাহ করা বিনা পয়সার চালের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধির জন্য ইতিমধ্যে দেশজুড়ে ‘ফর্টিফায়েড’ চাল সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, আয়রন, ভিটামিন, ফলিক অ্যাসিড ইত্যাদি মিশিয়ে অতরিক্ত পুষ্টিগুণসম্পন্ন বিশেষ ধরনের চাল কারখানায় উৎপাদন করা হয়। তা এক শতাংশ হারে সাধারণ চালে মিশিয়ে ‘ফর্টিফায়েড চাল’ তৈরি হয়। কিন্তু তারপরও যে দেশের একটা বড় অংশের মানুষ, বিশেষ করে দরিদ্রদের জন্য উপযুক্ত পুষ্টির জোগান দেওয়া যাচ্ছে না, তা বুঝতে পেরে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশজুড়ে ‘জন পোষণ কেন্দ্র’ তৈরি করবে তারা। রেশন দোকানগুলিকেই পর্যায়ক্রমে ‘জন পোষণ কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সাধারণ মানুষকে আরও বেশি পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য সরবরাহের জন্য এখান থেকে মিলেট, ডাল, তেল, সয়াবিন, দুগ্ধজাত সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তবে এসব খাদ্যসামগ্রী চাল-গমের মতো বিনা পয়সায় মিলবে না। এমনকী, নামমাত্র দামেও যে মিলবে না, তা দপ্তরের নোটে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তবে খোলা বাজারের দামের সঙ্গে ‘প্রতিযোগিতামূলক’ তুলনা করেই দর ঠিক হবে বলে জানানো হয়েছে।
রেশন ডিলারদের সংগঠন মনে করছে, এই উদ্যোগকে সফল করতে গেলে পুষ্টিকর খাদ্যের দাম যথাসম্ভব কম রাখার ব্যবস্থা অবশ্যই সরকারকে করতে হবে। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি হল গরিব মানুষের স্বার্থে ভর্তুকি মূল্যে পুষ্টিকর খাদ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা। প্রকল্প রূপায়ণ নিয়ে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রকের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা শুরু হয়েছে। আপাতত বলা হয়েছে, রেশন ডিলারদের এসব সামগ্রী কেনার জন্য ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন ব্যাঙ্ক (সিডিবি) থেকে কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে দেবে কেন্দ্র।