কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
বড়বাজারের ক্যালেন্ডার ব্যবসায়ী সঞ্জয় প্রজাপতির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বছরে একটিও অর্ডার পাইনি। আমাদের ফ্যাক্টরিও বন্ধ। কারখানার কর্মীরা এ ঘটনার কারণে কিছুদিন আগেই দেশের বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ক্যালেন্ডার তৈরির নানান আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কিনে রাখা হয়েছিল ঘরের টাকা দিয়ে। কিন্তু সব ক্ষতি হয়ে গেল। ওই ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের পুরনো কিছু দোকানদার আছেন। যাঁরা প্রতিবছরই কমবেশি ক্যালেন্ডার-এর অর্ডার দিয়ে থাকেন। কেউ কেউ পাঁচশো থেকে হাজার পর্যন্তও ক্যালেন্ডারের অর্ডার দেন। এবার হাতেগোনা ৪-৫ জন ব্যবসায়ী ক্যালেন্ডারের অর্ডার দিয়েও শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করে দেন। আর এক ক্যালেন্ডার ব্যবসায়ী রাজু সোনকার বলেন, চারদিকে লকডাউন চলছে। তাই ব্যবসা-বাণিজ্য এমনিই বন্ধ। তাই এবার আর কেউ আমাদের কাছে এখনো পর্যন্ত ক্যালেন্ডারের বরাত দেননি। ক্যালেন্ডার ব্যবসায়ীদের একাংশের কথায়, পরিস্থিতি কবে যে স্বাভাবিক হবে, তার কোনও ঠিক নেই। তার আগেই মিটে যাবে পয়লা বৈশাখ অর্থাৎ নববর্ষ উৎসব। অনেকেরই বক্তব্য, এমনিতেই ইন্টারনেটের দৌলতে এই শিল্প ধীরে ধীরে নষ্ট হচ্ছে। নতুন প্রজন্মের অনেকেই চান না সুদৃশ্য ফ্ল্যাটের ঘর বা বাড়ির দেওয়ালে ঢাউস ক্যালেন্ডার ঝুলে থাকুক। তাই ক্যালেন্ডারের প্রতি তাঁদের আগ্রহও কম। এই অবস্থায় প্রাচীন এই শিল্প যেটুকু বেঁচে ছিল এই বঙ্গে, সেটুকুও মারা যেতে বসেছে করোনা দৈত্যের আতঙ্কে। সব মিলিয়ে এবার নববর্ষ উৎসবের সন্ধ্যায় দোকানে দোকানে ঝলমল করবে না আলোর রোশনাই। দেখা যাবে না ক্যালেন্ডার ও মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে ক্রেতাদের সমাদর করার সেই পরিচিত দৃশ্য। কারণ আগামী ১৪ এপ্রিল, অর্থাৎ পয়লা বৈশাখের দিন পর্যন্ত আপাতত লকডাউন জারি অন্য রাজ্যের সঙ্গে এ রাজ্যেও।