বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
কিছুদিনের মধ্যে স্থানীয় পেঁয়াজ আরও বেশি পরিমাণে বাজার ভরিয়ে ফেলবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখনও বাজারে মহারাষ্ট্র থেকে আনা পেঁয়াজের পরিমাণই বেশি। তার দামও অবশ্য অনেক কমেছে। কলকাতার পাইকারি বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। রাজ্যে উৎপাদিত পেঁয়াজও পাইকারি বাজারে ২০ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম ৩৫-৪০ টাকা।
মার্চ মাসে রাজ্যের পেঁয়াজ বেশি পরিমাণে বাজারে আসতে শুরু করলে দাম আরও পড়বে বলে মনে করেন রাজ্য সরকারের কৃষিপণ্য সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে। তখন কৃষকরাও কম টাকা পাবেন। গত মরশুমে চার-পাঁচ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন রাজ্যের কৃষকরা। রাজ্যের পেঁয়াজ বাজারে বেশি পরিমাণে আসতে শুরু করার পরও মহারাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা নিজেদের বাজার ধরে রাখতে লোকসান করে পণ্য পাঠান। গতবার পাইকারি বাজারে মহারাষ্ট্র ও রাজ্যের পেঁয়াজ ১০ টাকার আশপাশে বিক্রি হয়েছে। কম দামে মহারাষ্ট্রের জোগান অব্যাহত রাখা এই রাজ্যের পেঁয়াজচাষিদের ভালো দাম পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা বলে তিনি মনে করেন। রাজ্যে পেঁয়াজ সংরক্ষণের পর্যাপ্ত পরিকাঠামো থাকলে তা কৃষকদের ভালো দাম পেতে সহায়ক হতো। কিন্তু সংরক্ষণের পরিকাঠামো না থাকায় রাজ্যে উৎপাদিত পেঁয়াজের বেশিরভাগটাই জুন-জুলাই মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। কিছু বড় কৃষক নিজেদের উদ্যোগে পেঁয়াজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করায় এবার চড়া বাজারে লাভবান হয়েছেন। নতুন পেঁয়াজ ওঠার পর দাম কম থাকায় একটা বড় অংশ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে যায়।
নতুন আলু এখন সরাসরি বাজারে চলে আসছে। কৃষকরা এখন ১০ টাকা কেজির আশপাশে দাম পাচ্ছেন। কলকাতার পাইকারি বাজারে এদিন নতুন আলুর দাম ছিল ১২ টাকার আশপাশে। অধিকাংশ খুচরো বাজারে ১৫-১৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। আগামী পয়লা মার্চের পর থেকে হিমঘরে আলু মজুত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। তখন কৃষকরা কী দামে আলু বিক্রি করতে পারবেন, সেদিকেই নজর রাখছেন সরকারি আধিকারিক ও ব্যবসায়ীরা। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, হিমঘরে আলু রেখে যাতে তা লোকসানে বিক্রি করতে না হয়, সেটাও রাজ্য সরকার দেখুক— এটা তাঁরা চাইছেন।