পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
লুইস ডে লা ফুয়েন্তের স্পেনের মূল শক্তি অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের মিশেল। এদিন যেমন পাসের ফুলঝুরিতে নজর কাড়লেন পেড্রিরা। তেমনই জাল কাঁপাতে ভুল হল না আলভারো মোরাতা ও কার্ভাহালের। প্রথমার্ধেই তিন গোলের লিডে কার্যত জয় নিশ্চিত করে ফেলে স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধেও আধিপত্য দেখাল তারা। আলাদা করে প্রশংসা করতে হবে ফাবিয়ান রুইজের। এদিন জাল কাঁপানোর পাশাপাশি গোলও করালেন তিনি। পাশাপাশি কনিষ্ঠতম ফুটবলার হিসেবে ইউরো খেলার নজির গড়লেন লামিনে ইয়ামাল (১৬ বছর ৩৩৮ দিন)। অন্যদিকে, ক্রোয়েশিয়ার মাঝমাঠের ভরসা লুকা মডরিচ একপ্রকার নিস্প্রভই ছিলেন। তার জেরেই ক্রোয়েশিয়াকে ছন্নছাড়া দেখাল। ৬৫ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদ তারকাকে মাঠ থেকেও তুলে নেন ক্রোট কোচ জ্লাতকো ডালিচ।
শনিবার ফুয়েন্তে ও ডালিচ, দুই কোচই ৪-৩-৩ ফর্মেশনে দল সাজিয়ে ছিলেন। পাসিং ফুটবলে ভর করে ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ বক্সে চাপ বজায় রাখে স্পেন। ১১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মোরাতা গোল লক্ষ্য করে শট নিলেও ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি। প্রথম ১৫ মিনিটে স্পেন একতরফা আক্রমণ শানালেও ক্রমশ লড়াইয়ে ফেরে ক্রোয়েশিয়া। মূলত মাঝমাঠে কোভাসিচরা বলের দখল নিতেই স্পেন সাময়িকভাবে চাপে পড়ে। কিন্তু রুইজ একাই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিলেন। ২৯ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে মোরাতার উদ্দেশে ডিফেন্স চেরা থ্রু পাস বাড়ান তিনি। তা থেকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে ভুল করেননি স্পেনের অধিনায়ক (১-০)। মিনিট তিনেক বাদেই স্কোরশিটে নাম তোলেন রুইজ। বক্সের ঠিক বাইরে পেড্রির পাস ধরে পেন্ডুলামের মতো শরীর দুলিয়ে বাঁ পায়ের দুরন্ত শটে জাল কাঁপান এই মিডিও (২-০)। এই পর্বে স্পেনের দাপুটে ফুটবলের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন মডরিচরা। প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে গোল করে কার্যত স্পেনের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন কার্ভাহাল। ডান দিক থেকে ইয়ামালের বাড়ানো বল বক্সে ফাঁকায় পেয়ে জালে ঠেলেন রিয়াল তারকা (৩-০)। এই গোলের দায় এড়াতে পারবেন না ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডাররা। দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের চিত্র বদলায়নি। তবে ৭৮ মিনিটে বক্সে পেটকোভিচকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দিয়েছিলেন পেড্রি। কিন্তু স্পটকিক থেকে পেটকোভিচের শট রুখে দেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক সিমোন। ফিরতি বলে পেরিসিচের পাস থেকে ক্রোট স্ট্রাইকার জাল কাঁপিয়েছিলেন। কিন্তু অফ সাইডের ফাঁদে গোল বাতিল হয়। বাকি সময়ে স্কোরলাইনের পরিবর্তন হয়নি।