পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
রান তাড়ায় সতর্কভাবে শুরু করেছিল পাকিস্তান। যশপ্রীত বুমরাহর বলে ফাইন লেগে অবশ্য শিবম দুবে ফেলেন মহম্মদ রিজওয়ানের সহজ ক্যাচ। পরের ওভারে নিজের বলে পাক অধিনায়ক বাবর আজমকে তালুবন্দি করতেও ব্যর্থ হন মহম্মদ সিরাজ। শেষ পর্যন্ত আঘাত হানেন ম্যাচের সেরা বুমরাহই। পঞ্চম ওভারে তিনি ফেরান বাবরকে (১৩)। স্লিপে অসামান্য দক্ষতায় ক্যাচ ধরেন সূর্যকুমার যাদব। এরপর আক্রমণে এসে প্রথম বলেই উসমান খানকে (১৩) এলবিডব্লু করেন অক্ষর। তবে রিভিউ নেওয়ার জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য রোহিতের। ফখর জামানকে (১৩) ফেরায় হার্দিকের বাউন্সার। ১৫তম ওভারে বিপজ্জনক রিজওয়ানের (৩১) স্টাম্প ছিটকে দেন বুমরাহ। সেটাই ম্যাচের মোড় ঘোরায়। শাদাব খান (৪) শিকার হন হার্দিকের। ১৯তম ওভারে ফের আঘাত হানেন বুমরাহ। আউট হন ইফতিকার আহমেদ (৫)। শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১৮ রান। প্রথম বলেই অর্শদীপ সিং নেন ইমাদ ওয়াসিমকে (১৫)। নাসিম শাহ দুটো বাউন্ডারি মারলেও তা জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। চাপের মুখে ঠাণ্ডা মাথায় দুর্দান্ত বোলিং করেন অর্শদীপ।
বৃষ্টির জন্য আধঘণ্টা দেরিতে হয়েছিল টস। তাতে জিতে ফিল্ডিং নেয় পাকিস্তান। তবে ভারতীয় ইনিংস শুরু হতে লেগে যায় নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে পঞ্চাশ মিনিট। ম্যাচের প্রথম ওভারের পর ফের নামে বৃষ্টি। তখন বিনা উইকেটে ভারতের স্কোর ৮, যার পুরোটাই রোহিতের। তার মধ্যে শাহিনকে মারা অনবদ্য ছক্কাও রয়েছে। তখনও পর্যন্ত একবলও খেলার সুযোগ পাননি বিরাট কোহলি। কিছুক্ষণ পর খেলা শুরু হতে পয়লা বলেই অনবদ্য কভার ড্রাইভে বাউন্ডারি মারেন তিনি। ফেরেন অবশ্য সেই ওভারেই। শরীর থেকে দূরে মারতে গিয়ে নাসিম শাহকে উইকেট উপহার দেন ভিকে (৪)। এই নিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের চলতি আসরে পরপর দুই ম্যাচে ব্যর্থ তিনি। পরের ওভারে শাহিন আফ্রিদিকে ছয় হাঁকাতে গিয়ে ডিপ স্কোয়ার লেগে ক্যাচ তোলেন রোহিত (১৩)। চারে নামা অক্ষর প্যাটেল করেন ২০। তৃতীয় উইকেটে ঋষভ পন্থের সঙ্গে তিনি যোগ করেন ৩৯ রান।
দশ ওভারের শেষে স্কোর ছিল ৮১-৩। কিন্তু তারপরই নামে ধস। পরের ৯ ওভারে মাত্র ৩৮ রানে সাত উইকেট হারায় নীল জার্সিধারীরা। সূর্যকুমার যাদব (৭), শিবম দুবে (৩), হার্দিক পান্ডিয়া (৭), রবীন্দ্র জাদেজা (০), যশপ্রীত বুমরাহ (০), অর্শদীপ সিং (৯) যাওয়া-আসার পালায় অংশ নেন। নট আউট থেকে যান মহম্মদ সিরাজ (৭)। ঋষভ পন্থ (৩১ বলে ৪২) একমাত্র নিজস্ব মেজাজে খেলার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু উল্টোদিকে কাউকে পাননি। গড়ে ওঠেনি পার্টনারশিপ। ১৯ ওভারে ১১৯ রানে থামে ভারতের ইনিংস। নাসিম শাহ (৩-২১), হ্যারিস রউফ (৩-২১), মহম্মদ আমিররা (২-২৩) নজর কাড়েন বল হাতে।