অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
কোভিডের কারণে অনেক কিছু বদল এসেছে ক্রিকেটে। খেলা হচ্ছে জৈব সুরক্ষা বলয়ে। ভারতীয় ক্রিকেটাররা সিডনি পৌঁছানোর পর বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। সেই পর্বেই মহম্মদ সামি, যশপ্রীত বুমরাহরা বোলিংয়ে শান দিয়েছেন ওয়ার্নার, স্মিথদের মোকাবিলার জন্য। সিরিজের আগে ভারতীয় দল উঠেছে নতুন হোটেলে। অনেকদিন পর মুক্ত বাতাসের স্বাদ পেয়েছেন লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আয়াররা। অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে যা ‘টিম ইন্ডিয়া’কে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলেই মত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের।
রোহিত শর্মার না থাকাটা সীমিত ওভারের সিরিজে ভারতকে ভোগাতে পারে। কারণ, সাদা বলে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিটম্যান। কিন্তু আইপিএলের সময় পাওয়া হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট এখনও সারিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। তাই টেস্ট সিরিজেও তাঁর খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ওয়ান ডে’তে রোহিতের জায়গায় শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে ওপেন করতে পারেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে ত্রয়োদশ আইপিএলে ইনিংসের সূচনা করে যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছিল লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল জুটি। তা সত্ত্বেও মিডল অর্ডার মজবুত করতেই পাঁচ নম্বরে লোকেশকে ব্যাট করতে পাঠানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের। বিরাট কোহলি বরাবরের মতোই নামবেন তিন নম্বরে। অস্ট্রেলিয়াকে দেখলেই তিনি জ্বলে ওঠেন। রোহিত না থাকায় ভিকে’র কাঁধে চাপবে বাড়তি দায়িত্ব। পাঁচ নম্বরে শ্রেয়াস আয়ারকে খেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে কোচ রবি শাস্ত্রীর। কারণ, মুম্বইয়ের এই ব্যাটসম্যানটি অতীতে বেশ কয়েকটি সিরিজে দলকে ভরসা জুগিয়েছিলেন। চোট সারিয়ে দীর্ঘদিন পর ভারতের জার্সি গায়ে নামবেন হার্দিক পান্ডিয়া। আইপিএলের সময় তাঁকে সেভাবে বল করতে দেখা যায়নি। তাই এই ম্যাচে হার্দিকের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ক্রিকেট মহলে। যশপ্রীত বুমরাহ ও মহম্মদ সামিকে রেখেই বোলিং বিভাগ সাজাতে চাইছেন কোচ রবি শাস্ত্রী। তৃতীয় পেসার হতে পারেন নবদীপ সাইনি কিংবা শার্দূল ঠাকুর। স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে যুজবেন্দ্র চাহালের খেলার সম্ভাবনা বেশি। রয়েছেন অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাও।
গতবার ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে হারের ক্ষত এখনও সারেনি ক্যাঙারু বাহিনীর। তাই এবার শুরু থেকেই সাবধানী অ্যারন ফিনচরা। ভারতকে সমীহ করার কথা বললেও অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার অবশ্য সীমিত ওভারের সিরিজ জেতার ব্যাপারে আশাবাদী। স্বাভাবিকভাবেই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবেন ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ। বল বিকৃতিকাণ্ডের জেরে নির্বাসিত থাকায় তাঁরা গতবার খেলতে পারেননি ভারতের বিরুদ্ধে। যার প্রভাব স্পষ্ট ধরা পড়েছিল অজিদের পারফরম্যান্সে। এই ম্যাচে ক্যাপ্টেন ফিনচের সঙ্গে ওয়ার্নার ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে পারেন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে দেখা যেতে পারে স্টিভ স্মিথকে। পাশাপাশি দুরন্ত ফর্মে থাকা মার্নাস লাবুশানে ও মার্কাস স্টোইনিস ভারতীয় বোলারদের কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারেন। মিডল অর্ডারে অজিদের বড় ভরসা অ্যালেক্স কেরি ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়ার পেস ব্যাটারি বেশ শক্তিশালী। প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্কের পাশাপাশি হ্যাজলউড গতির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কোহলিদের বিপাকে ফেলার চেষ্টা করবেন।