অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
গোয়া থেকে দুই প্রধানের দু’একজন ভারতীয় ফুটবলারের সঙ্গে কথা বলে মনে হল, তাঁরাও শঙ্কিত! সমর্থক ছাড়া কীভাবে উজ্জীবিত হবেন? তবে বুঝে গিয়েছেন, প্রতিকূল পরিবেশেও মর্যাদার লড়াইয়ে জিততে হবে। দু’দলের নামের আগে এসসি ও এটিকে থাকলেও আসলে তো সেই বাঙাল ও ঘটির সেন্টিমেন্ট। ফুটবলারদের গায়ে থাকবে রক্তে শিহরণ জাগানো লাল-হলুদ ও সবুজ-মেরুন জার্সি।
এটিকে-মোহন বাগানে আপফ্রন্টে সফল জোড়া ফলা রয় কৃষ্ণা ও ডেভিড উইলিয়ামস। তাঁদের কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে তৈরি এসসি ইস্ট বেঙ্গলের দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার স্কট নেভিল ও ড্যানি ফক্স। ব্রিটিশ কিংবদন্তি রবি ফাউলার ইস্ট বেঙ্গলের কোচ হিসেবে কঠিন পরীক্ষার সামনে। দু’বার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন এটিকে মোহন বাগানে কোচ হাবাসের কোচিং জীবনের ষোলো কলা পূর্ণ হবে ইস্ট বেঙ্গলকে হারাতে পারলেই। ব্রিটিশ বনাম স্প্যানিশ কোচের লড়াইয়ে কে জেতেন, বলবে ভবিষ্যৎ। তবে কোনও দলকেই এগিয়ে রাখা কঠিন। কারণ দু’টি দলই সেভাবে পরীক্ষিত নয়। ফাউলার ও হাবাস রণনীতি তৈরি করছেন প্লেয়ার ভিত্তিক ভিডিও বিশ্লেষণ করে। ফাউলারের অস্ত্র, মোহন বাগান ও কেরল ব্লাস্টার্স ম্যাচের ক্লিপিংস। হাবাসের কাছে প্রতিপক্ষের সবটাই অচেনা। কারণ ইস্ট বেঙ্গল তো ডার্বি দিয়েই আইএসএল অভিযান শুরু করবে। তবে, তাঁর দলে বড় ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকা ফুটবলারের সংখ্যা বেশি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রয়াত মারাদোনার সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছেন লাল-হলুদ কোচ রবি ফাউলার। আক্রমণে ঝড় তোলা ছিল ফুটবল রাজপুত্রের ট্রেডমার্ক। প্রাক্তন লিভারপুল প্লেয়ার ফাউলারের খ্যাতি আক্রমণাত্মক কোচ হিসেবেই। উল্টোদিকে হাবাসের প্রধান লক্ষ্য রক্ষণ অটুট রেখে প্রতি-আক্রমণে ওঠা। ফাউলারের ম্যান ম্যানেজমেন্ট লাল-হলুদ ফুটবলারদের মন জয় করেছে। ৩-৫-২ ফর্মেশন স্প্যানিশ কোচের পছন্দ। ফাউলার দল সাজাতে পারেন ৫-৪-১ ফর্মেশনে।
রয় কৃষ্ণার চালিকাশক্তি হাবাসের মিডফিল্ডাররা। একইসঙ্গে উইং প্লে। এই সাপ্লাই লাইন কাটাই লক্ষ্য থাকবে ফাউলারের। লাল-হলুদের মাঝমাঠে বড় ভরসা জার্মানির মাত্তি স্টেইনম্যান। ব্লকিং ও স্ন্যাচিংয়ে পারদর্শী তিনি। স্টপার ড্যানিয়েল ফক্সই বড় ম্যাচে ইস্ট বেঙ্গলের নেতা। নিজের দায়িত্ব সামলে সবুজ-মেরুনকে হারানোর হুঙ্কার শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। দু’দলের বিদেশিদের গড় উচ্চতা ভালো। ফলে ফাউলার ও হাবাস জমিতে বল রেখে খেলার দিকে বেশি জোর দিচ্ছেন। সবুজ-মেরুন কোচ আপফ্রন্টে খেলাতে পারেন এডু গার্সিয়া ও রয় কৃষ্ণাকে। গোলের জন্য লাল-হলুদ ব্রিগেড তাকিয়ে রয়েছে কঙ্গোর স্ট্রাইকার জ্যাকুয়েস মাঘোমার দিকে। বিপক্ষ জাল তিনি ভালোই চেনেই। ইস্ট বেঙ্গলের উইং হাফ পিলকিংটনের (সহ-অধিনায়ক) দৌড় সামলাতে সবুজ-মেরুনের প্রীতম-প্রবীর-শুভাশিসদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। তবে এটা পরিষ্কার, চেনা-অচেনার আবহে দু’টি দলই ঘর সামলে আক্রমণে যাবে।