হায়দরাবাদ, ৫ ডিসেম্বর: দলনেতা হিসাবে বরাবরই সতীর্থদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন বিরাট কোহলি। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। কঠিন সময়ে তরুণ উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্থের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করলেন তিনি। বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে ঋষভ ক্যাচ মিস করার পর দর্শকরা ‘ধোনি...ধোনি...’ স্লোগান তুলেছিলেন। সমর্থকদের এমন আচরণ পছন্দ নয় কোহলির। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে প্রবল চাপে রয়েছেন ঋষভ। ভালো পারফর্ম করতে না পারলে তিনি হয়তো দল থেকে বাদও পড়বেন। কিন্তু ঋষভকে এভাবে হারিয়ে যেতে দিতে রাজি নন কোহলি। তাই তরুণ উইকেটরক্ষকের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করলেন তিনি, ‘ঋষভ যে ম্যাচ জেতাতে পারে, সেই বিশ্বাস আমাদের এখনও অটুট। প্রবল চাপ নিয়েও ক্রিকেটারদের পারফর্ম করতে হয় ঠিকই, তবে আমাদেরও তো কিছু কর্তব্য রয়েছে। ঋষভ যখন ক্যাচ মিস করছে, তখন দর্শকরা ধোনি, ধোনি বলে চিৎকার করছে। এই আচরণ কাঙ্খিত নয়। কোনও খেলোয়াড় কি ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ পারফর্ম করতে চায়? একজন ক্রিকেটার যখন দেশের মাটিতে খেলছে, তখন তাকে সমর্থন জানানো, পাশে থেকে মনোবল বাড়ানো উচিত দর্শকদের। যা না করে আমরা শুধু অপেক্ষায় থাকছি, ও কখন মিস করবে। তাতে ক্রিকেটারটি আরও বেশি চাপে পড়ে যাচ্ছে। রহিত আগের সিরিজে ঠিকই বলেছিল। ঋষভকে এখন একা ছেড়ে দেওয়াই ভালো। আমরা জানি ও ম্যাচ উইনার। ভালো সময় এলে ওকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না। আইপিএলে চাপমুক্ত থাকে বলে কত সুন্দর পারফর্ম করে ছেলেটা। তাই দর্শকদের কাছে একটাই অনুরোধ, ওকে খোলা মনে খেলতে দিন। দেখবেন, ঋষভ ঠিক ঘুরে দাঁড়াবে।’ আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় স্কোয়াডের পেস বিভাগে মাত্র একটি জায়গা ফাঁকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কোহলি। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যশপ্রীত বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমার ও মহম্মদ সামির জায়গা প্রায় পাকা। চতুর্থ পেসারের দৌড়ে এগিয়ে দীপক চাহার। যিনি শেষ টি-২০ ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৬টি উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন।
একদিন আগেই স্টিভ স্মিথকে টপকে ফের আইসিসি’র টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছেন বিরাট । এবার টি-২০ ফরম্যাটে সর্বাধিক রানের মালিক হওয়ার সুযোগ তাঁর সামনে। এক্ষেত্রে বিরাটের বাধা সতীর্থ রহিত শর্মা। ১০১টি ম্যাচ খেলে ‘হিটম্যান’ ২৫৩৯ রান করে শীর্ষে আছেন। ৭২টি ম্যাচে কোহলির সংগ্রহ ২৪৫০ রান। তাঁর স্থান দ্বিতীয়। ফলে বাড়তি আকর্ষণ হতে চলেছে বিরাট-রহিতের ব্যক্তিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা।