পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
নির্ভয়া প্রকল্পে এমনই ৭৩০টি ক্যামেরা বসছে আসানসোল ডিভিশনের ৫৩টি স্টেশনে। তারমধ্যে রয়েছে রানিগঞ্জ, পানাগড়, চিত্তরঞ্জনের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। এই স্টেশনগুলিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেখানে ৩৮টি করে এই ধরনের বিশেষ ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। এছাড়াও বৈদ্যনাথধামে শ্রাবণী মেলা উপলক্ষ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষের আগমন হয়। দেওঘর, জসিডি, বাসুকিনাথ ও বৈদ্যনাথধাম এই চারটি স্টেশন ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হয়। এবার সেই মেলার আগেই স্টেশনে এই বিশেষ প্রযুক্তির ক্যামেরা বসিয়ে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করতে চাইছে রেল।
আসানসোল ডিভিশনের সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার রাহুল রাজ বলেন, ফেসিয়াল রিকগনাইজেশন সিস্টেমের মাধ্যমে দুষ্কৃতীর ছবি আপলোড করা হবে। শুধু আমাদের ডিভিশনের নথিভূক্ত দুষ্কৃতীদের ছবি নয়, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেট, হাওড়া রেল ডিভিশনের দুষ্কৃতীদের ছবিও আপলোড করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরপর অন্য এলাকার দুষ্কৃতীরাও আমাদের ডিভিশনের কোনও স্টেশনে এলেই ধরা পড়ে যাবে।
শিল্পাঞ্চলে নানা অপরাধের ক্ষেত্রে রেলপথ করিডরের ভূমিকা নিচ্ছে। পাখি পাচার, মদ পাচারের পাশাপাশি সোনা ও নগদ টাকা উদ্ধারের মতো নানা ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায়ও ডাকাতদের কয়েকজন রেলপথেই বাংলা ছেড়েছে বলে পুলিস জানতে পেরেছে। এবার সেখানেই দুষ্কৃতীদের ‘পথের কাঁটা’ হবে অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা। তার ফলে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে বার্তা পাঠিয়ে দেবে কন্ট্রোল রুমে। সেখানে দুষ্কৃতীর পরিচয় ফুটে উঠবে। দ্রুত অভিযানে নামতে পারবে আরপিএফ। প্রাথমিকভাবে যে স্টেশনগুলি চিহ্নিত হয়েছে তাও তাৎপর্যপূর্ণ।
সাম্প্রতিকালে চিত্তরঞ্জনে নাশকতা চালানোর আশঙ্কার চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে পেয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এবার সেই স্টেশনের নিরাপত্তা ঢেলে সাজা হচ্ছে। সেখানে ৩৮টি ক্যামেরা পুরো স্টেশন চত্বরে নজরদারি চালাবে। তেমনই পানাগড়ে রয়েছে সেনা ছাউনি ও এয়ারফোর্সের ক্যাম্প। সেই স্টেশনের নিরাপত্তাও বাড়ানো হচ্ছে। যাতে কোনও নাশকতার আশঙ্কা থাকলে দুষ্কৃতীদের দ্রুত চিহ্নিত করে নেওয়া যায়। তেমনই আসানসোল ও দুর্গাপুর স্টেশনও সিসি ক্যামেরায় মুড়ে দেওয়া থাকলেও রানিগঞ্জ বঞ্চিত থেকেছে। এবার সেখানে ৩৮টি ক্যামেরা বসতে চলেছে, যা খনি শহরের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া শ্রাবণী মেলার নিরাপত্তা আসানসোল ডিভিশনের আরপিএফের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই সেই স্টেশনগুলিতেও এই আধুনিক প্রযুক্তি চালু করতে চাইছে রেল। জুলাই মাসেই মেলা শুরু হবে। তার আগে সেই কাজ সম্পন্ন করার টার্গেট নিয়েছে তারা। তাঁদের দাবি, জসিডিতে ১৬টি ও মধুপুরে ৪০টি সিসি ক্যামেরা ছিল। তার সংখ্যা বাড়িয়ে ৬০টি করে করা হচ্ছে। সেখানে এই আধুনিক প্রযুক্তিও ব্যবহার হবে।