পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
তেহট্টে একসময় মিষ্টির দোকান, চায়ের দোকান, বাড়ির অনুষ্ঠানেও প্ল্যাস্টিকের কন্টেনার, কাপ, গ্লাস অনেক বেশি ব্যবহার হতো। যেখানে সেখানে সেই প্লাস্টিক ফেলে রাখা হতো। আবার কেউ কেউ প্লাস্টিক আগুনে পুড়িয়ে দিত। এতে পরিবেশ দূষণ হচ্ছিল। সেজন্য প্লাস্টিক ব্যবহার রুখতে প্রশাসন মানুষকে সচেতন করতে শুরু করে। প্রশাসনের আধিকারিকরা প্রতিনিয়ত অভিযান চালানোয় প্লাস্টিক ব্যবহার প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর সেইসঙ্গে মাটির তৈরি গ্লাস, হাঁড়ি, কাপের বিক্রি বেড়েছে। ফলে এলাকার কুমোররা দু’টো টাকার মুখ দেখছেন।
মাটির জিনিস তৈরি করে সংসার চালান তিনকড়ি পাল। তিনি বলেন, এই ঘোষণার আগে আমি প্রদীপ, ঘট এসব তৈরি করে সংসার চালাতাম। কখনও কোনও বাড়িতে মাটির গ্লাসের বরাত দিলে তা বানাতাম। সারা মাসে একহাজার গ্লাস বা ভাঁড় বিক্রি হতো না। এখন প্রশাসন তেহট্টের মানুষকে প্লাস্টিক ব্যবহারের কুফল নিয়ে সচেতন করেছে। ফলে মাটির ভাঁড় ও গ্লাসের বিক্রি অনেকটাই বেড়েছে।
এক মিষ্টি ব্যবসায়ী বলেন, আগে আমরা মিষ্টি, দই সবকিছুই প্লাস্টিক কন্টেনারে বিক্রি করতাম। প্রশাসন সচেতন করায় তা এখন বন্ধ। এখন সবকিছুই মাটির জিনিসে দিচ্ছি। মাটির হাঁড়িতে দই, মিষ্টি দিতে হচ্ছে। এতে আমাদের খরচ বাড়লেও পরিবেশ রক্ষা পাচ্ছে।
এক চায়ের দোকানদার সমীর রায় বলেন, আমি অনেক আগে থেকেই মাটির ভাঁড়ে চা দিই। প্রশাসনের নির্দেশে আমার মতো সবাই প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। এতে আমাদের শহর পরিষ্কার-পরিছন্ন থাকবে।
এলাকার পরিবেশকর্মী প্রমিত ভট্টাচার্য বলেন, প্রশাসনের এই উদ্যোগে মাটির তৈরি জিনিস আবার ফিরে আসছে। এতে পরিবেশ দূষণ কমবে। সেইসঙ্গে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষ বাঁচবে।