পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। ২০৭০ সালে এখনকার থেকে তিন গুণ বেশি বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে। ২০৩০ সালেই ৭৭৭ গিগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন পড়বে। সোলার এনার্জি নিয়ে পূরণ করতে গেলে তার জন্য ৯৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার জমির প্রয়োজন, যা বিহার রাজ্যের থেকেও আয়তনে বড় হবে। এসএমআরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধা হল, খুব অল্প জায়গায় বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। কোল ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান পি এম প্রসাদ সহ ইসিএলের শীর্ষকর্তাদের উপস্থিতি এই আলোচনা চক্রে কয়লা খাদান থেকেও বিকল্প অচিরাচরিত শক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপর জোর দেওয়া হয়। পাম্প স্টোরেজ সিস্টেমের মাধ্যমে পাম্পের সাহায্যে জল তুলে তা উপর থেকে ফেলে জল বিদ্যুৎ উপাদনের উপর জোর দেওয়া হয়। পুরুলিয়ার অযোধ্যয় কীভাবে তা করা হচ্ছে, তা দেখে পরামর্শ দেওয়া হয়।
ডিভিসি চেয়ারম্যান জানান, ডিভিসিও এই ধরনের একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এছাড়াও ইসিএলের বিভিন্ন অপরিত্যক্ত খাদানে ভাসমান সোলার প্যানেল বসিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপর জোর দেওয়া হয়। পরিবেশে যে পরিমাণ উষ্ণতা ও দূষণ বাড়ছে। তাতে মানুষের বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই অচিরাচরিত শক্তির ব্যবহারের উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়। কোল ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান পিএম প্রসাদ বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই পাম্প স্টোরেজ পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একাধিক প্রকল্প নিয়ে উদ্যোগী হয়েছি। অনেকক্ষেত্রে পরিত্যক্ত খাদানগুলিতে তা করা হবে। এছাড়া সংস্থার ব্যবহৃত গাড়িগুলি ব্যাটারি চালিত করা হচ্ছে, যাতে দূষণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তিনি আরও বলেন, একদিকে আমরা যেমন অচিরাচরিত শক্তি উৎপাদনে জোর দিচ্ছি, তেমনি আমরা কয়লা উত্তোলনের রেকর্ডও বাড়াচ্ছি। আমরা গড়ে প্রতি বছর ১০ শতাংশ করে উৎপাদন বাড়াচ্ছি। নতুন মন্ত্রী সেই বৃদ্ধি ১৫ শতাংশ করতে বলেছেন। ইসিএলের সিএমডি সমীরণ দত্তও তাঁদের নানা উদ্যোগ তুলে ধরেন।
একাধিক অচিরচরিত শক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা নিয়ে কথা হলেও সকলেই একমত রাশিয়া থেকে রিঅ্যাক্টর পেয়ে যদি সুষ্ঠুভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে দেশ সমর্থ হয়, তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আবহে ভারতকে পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর দেওয়া নিয়ে রাশিয়ার আগ্রহ প্রকাশ যথেষ্ট তৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সংস্থার প্রতিষ্ঠা হয় ১৯০৬ সালে। কোল ইন্ডিয়ার বিভিন্ন সংস্থা এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির ১৮টি শাখা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কোল ইন্ডিয়ার ডাইরেক্টর ভিরা রেড্ডিও উপস্থিত ছিলেন।