সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
এদিন সকাল থেকে একটানা ধারাপাত বন্ধ হয় দুপুরের পর। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ভ্যাপসা গরম চলছিল। ভোরে ঠান্ডা আবার দিনে গরম থাকায় ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ দেখা যাচ্ছিল। তার থেকে রেহাই মিলবে এবার। এদিন বেশি বৃষ্টি হয়েছে নলহাটির দিকে। সেখানে গড়ে ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রামপুরহাটে ৩৭ মিলিমিটার। এর আশপাশে ২০-২৫ মিমির মতো বৃষ্টি হয়েছে। সবমিলিয়ে গড়ে এদিন জেলার বৃষ্টির পরিমাণ ১৯ মিমি। এতে জলের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হল। কৃষি আধিকারিকদের মতে, খরিফ চাষের বীজ বোনার ক্ষেত্রে এই বৃষ্টি কিছুটা কাজে লাগতে পারে। জমিতে জলের পরিমাণ এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে। এই সুযোগে চাষিরা জমি তৈরি করে নিতে পারেন। বীজ ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় মাটি চষার কাজও হয়ে যাবে। তবে এই বৃষ্টি আরও বেশ কয়েকবার হলে চাষের ক্ষেত্রে অনেকটাই উপকার হবে। অন্যদিকে ঝড় না হওয়ায় আম, লিচুর ক্ষতি হবে না বলেই কৃষি বিশেষজ্ঞদের দাবি। বরং এই বৃষ্টি ভালো ফলনে সাহায্য করবে। জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) শিবনাথ ঘোষ বলেন, এই বৃষ্টিতে অবশ্যই জমির জলের প্রয়োজন মিটল। চাষিরা এই ফাঁকে জমি তৈরি করে নিতে পারবেন। আর এমনিতেই ৯০ শতাংশেরও বেশি জমির ধান মাঠ থেকে উঠে গিয়েছে। তাই ক্ষতির আশঙ্কা একেবারেই নেই।
অন্যদিকে, এই বৃষ্টিতে জেলার বেশ কিছু শুকিয়ে যাওয়া পুকুর, ডোবাতে ফের জল দাঁড়িয়ে যায়। শুকনো কুয়োগুলোর জলস্তরও কিছুটা বৃদ্ধি পায়। মাটিতেও জলের পরিমাণ অনেকটা বাড়ে। কিন্তু এই আবহাওয়াতে বেশ কয়েক জায়গায় গাছের ডাল ভেঙে পড়তেও দেখা যায়৷ সিউড়ি, রাজনগরের প্রধান সড়কের উপর কয়েকটি গাছের ডাল নুইয়ে পড়ে। কেবলের তার ছিঁড়ে যায়। পাশাপাশি রাস্তাঘাটের গর্তগুলিতে জল জমে সমস্যা সৃষ্টি করে। দেখা যায়, সিউড়ি শহরের একাধিক সাইনবোর্ড ভেঙে গিয়েছে। টিউবলাইট ভেঙে ঝুলছে। সিগনাল গেটের একাংশ হেলে গিয়েছে। অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিও ঝুলছে বিপজ্জনক ভাবে। যে কোনও সময়ে মাথায় পড়তে পারে। সিউড়ির এক বাসিন্দা ইন্দ্রনীল চৌধুরী বলেন, কালবৈশাখী আসার আগে বিদ্যুতের তার, খুঁটিগুলি একবার করে দেখে নেওয়া দরকার প্রশাসনের। ভোটের পর থেকে বেশ কয়েকটা ওয়ার্ডে পথবাতি নিভে গিয়েছে। আর শহরে ট্রাফিক সিগনালের কোনও কাজ আছে বলে তো মনে হয় না। শুধু লাগানোই থাকে দেখি। ঝড় দিলে ওই সিগন্যাল বক্সগুলোও ভেঙে পড়তে পারে। প্রশাসন ও পুরসভাকে নজর দিতে অনুরোধ করি।