একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কিছুদিন আগে সাঁইথিয়া শহরের গ্রামীণ হাসপাতালকে স্টেট জেনারেল হাসপাতালে উন্নীত করার অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু আহমদপুরের ঈশ্বরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে ভাবিত নয় স্বাস্থ্যদপ্তর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঈশ্বরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মাঝে মাঝে চিকিৎসকদের পাওয়া যায়। অধিকাংশ সময়ই স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীদের চিকিৎসা করেন। ওই হাসপাতালে রোগীদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা করার মতো পরিকাঠামো নেই বলেও অভিযোগ। কয়েক বছর আগেও এই হাসপাতালে ইনডোর পরিষেবার জন্য কুড়িটি বেডের বন্দোবস্ত করার কথা হয়েছিল। কিন্তু তা আর এগয়নি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, আহমদপুরের ছ’টি অঞ্চল লাভপুর বিধানসভার অন্তর্গত। তাই ঈশ্বরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে স্টেট জেনারেল হাসপাতালে উন্নীত করার জন্য বিধায়কের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বিরোধীদের অভিযোগ, এই হাসপাতালে নিয়মিত ডাক্তার থাকে না। অথচ হাসপাতালে প্রচুর জায়গা পড়ে রয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই হাসপাতালটি সিউড়ি লাভপুর প্রধান রাস্তার ধারে অবস্থিত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা যথেষ্ট ভালো রয়েছে। তাই এই হাসপাতালকে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উন্নীত করা হলে বহু মানুষের উপকার হবে। সাঁইথিয়া-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সোমনাথ সাধু বলেন, এই হাসপাতালকে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উন্নীত করার জন্য বিধায়কের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি বিষয়টি রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। বিধায়ক বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখছেন। যদিও বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনিই কলকাতায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে ভয় পান। আহমদপুরের ঈশ্বরপুর কেন সব হাসপাতালেরই বেহাল অবস্থা। তাই ওখানকার মানুষ এর জবাব দেবেন ভোটে।