একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
অনেকদিন আগেই রতনবাবুকে পদ্মশ্রী সম্মানের জন্য মনোনীত করার ঘোষণা করা হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এল সেই বহু প্রতিক্ষীত ক্ষণ। সিউড়ির রতন কাহার পুরস্কার নিলেন রাষ্ট্রপতির হাত থেকে। করতালিতে অনুষ্ঠান ভবন মুখরিত হয়ে উঠল। ছেলে শিবনাথ কাহার ছিলেন সঙ্গে। তাঁরই কাঁধে ভর করে রতনবাবু দিল্লি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফোনে বলছিলেন, এই মুহূর্তটা আমার জীবনের স্মরণীয় দিন। দেশের সমস্ত বিভাগের যিনি প্রধান, তাঁর হাত থেকে পুরস্কার পাওয়ার থেকে বড় সম্মান আর কী-ই বা হতে পারে। এতদিন ধরে আমার লেখা গানকে যাঁরা ভালোবেসেছেন, শুনেছেন তাঁদের প্রণাম জানাই। জীবনে বহু লাঞ্ছনা, অপমান সহ্য করেছি। আমার গান গাওয়ার সময় নাম উল্লেখ করতেন না অনেকেই। কিন্তু জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আর কোনও ক্ষোভ নেই। আরও গান লিখে যেতে চাই৷
রতনবাবুর এই সম্মান পাওয়ার ছবি, ভিডিও ক্লিপিং সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছেন বীরভূমের এই গর্বের মানুষটিকে। সিউড়ি আদালতের সরকারি আইনজীবী অনিন্দ্য সিং বলছিলেন, এই গর্ব গোটা জেলার। দারিদ্রকে নিত্যসঙ্গী করে জীবনে এই উচ্চতায় উঠা এই মানুষটা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা হয়ে থাকল। যতদিন বাংলা লোকগান থাকবে থাকবে ততদিন ‘বড়লোকের বিটি লো’ মানুষ গাইবেন। সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যাপক পার্থশঙ্খ মজুমদার বলছিলেন, রতনদার এই সম্মান গোটা দেশের কাছে যেন বীরভূম জেলার সম্মান। ভদ্রলোক শীতের ভোরে পাড়ার পাড়ায় খঞ্জনি বাজিয়ে গান গেয়েছেন। দারিদ্রের সংসার। সেই ব্যক্তির হাতে এতবড় সম্মান দেখতে পেয়ে আমরা প্রত্যেকেই গর্বিত। এবার বাকি জীবনটা যেন তিনি স্বচ্ছলতার মধ্যে বাঁচতে পারেন সেটা দেখার দায়িত্ব বাংলার সকলের।