কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৫০ হাজার ভোট পেয়েছিল। তৃণমূল পায় ৪০ হাজার, বামফ্রন্ট ২৯ হাজার ও কংগ্রেস ২১ হাজার ভোট পেয়েছিল। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পায় ৬১ হাজার ভোট। তৃণমূল ৩৪ হাজার। বাম ও কংগ্রেস ৫৫ হাজার ভোট পেয়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি পায় ৯৩ হাজার ৪২৫ ভোট। তৃণমূল ৪৮,২৯৩ ভোট, কংগ্রেস ৮,২৭৪ ও বামফ্রন্ট ৮,১৫৬ ভোট পায়। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি পায় ৭৯,৬০৭ ভোট, তৃণমূল ৭৫,৮৩৬ এবং কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট জোট ১০,৭০৫ ভোট পায়। মাঝে ২০১৯ সালের বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি ৫২,০৪০ ভোট, তৃণমূল ৭২,৮৯৩ এবং কংগ্রেস ও বাম জোট ২২,৬৩১ ভোট পায়। এই পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে উপনির্বাচন বাদ দিলে প্রতি নির্বাচনেই ভোটপ্রাপ্তির নিরিখে বিজেপি প্রথম স্থানে আছে।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রবিশঙ্কর পান্ডে বলেন, এই শহরে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিশেষ করে রেলের কর্মীর সংখ্যা অনেক বেশি। কেন্দ্রে যে সরকার থাকে তাদের মধ্যে সেই দলের পক্ষে ভোট দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। লোকসভার চেয়ে বিধানসভা ভোটে অবশ্য আমরা একটু বেশি ভোট পাই। তিনি বলেন, তবে এবার প্রবণতাটা একটু কমবে। আমাদের ভোট বাড়বে। দলের আর এক নেতা দেবাশিস চৌধুরী বলেন, অবাঙালি অধ্যুষিত শহর বলে বিজেপি একটু বাড়তি লাভ পায়। তবে এবার আমাদের মাস্টার স্ট্রোক লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বিজেপিকে অনেকটা পিছিয়ে দেবে। বাঙালি, অবাঙালি সব মহিলারাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন। প্রায় ৩৫ হাজার উপভোক্তা এই পরিষেবা পান। ভোট বাক্সে অবশ্যই তার প্রভাব পড়বে। তাই বলতে পারি আগের চেয়ে আমরা এবার ভালো ফল করব।
সিপিএম নেতা সবুজ ঘোড়াই বলেন, কেন্দ্রে যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের পক্ষে ভোট যাওয়ার একটা প্রবণতা আছে এই শহরে। তবে এবার রামে চলে যাওয়া ভোট আমাদের ঘরে ফিরে আসছে। স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের ভোট বাড়বে। রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহলের মতে বামেদের ভোট বাড়লে বিজেপির ভোট কমবে। বিজেপি নেত্রী তথা কাউন্সিলার অনুশ্রী বেহেরা অবশ্য বলেন, এবার এই শহরে বিজেপির ভোট আরও বাড়বে। আমরা আরও বেশি ভোটে প্রার্থীকে লিড দেব।