সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বাবদ ৩১ হাজার ৬৬৯টি আবেদন জমা পড়েছে। এরমধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত বাবদ আবেদন এসেছে ১১ হাজার ৭৬০টি। আংশিক ক্ষতি পূরণের জন্য ১৯ হাজার ৯০৯টি আবেদন জমা পড়েছে। এছাড়াও চাষে ক্ষয়ক্ষতি বাবদ ৪২০৪টি আবেদন এসেছে। গবাদি পশু মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদনের সংখ্যা ৬০৩৫টি। পানবরজ নষ্ট হওয়ায় ১৮৪৭জন আবেদন জমা করেছেন। মৎস্য সরঞ্জাম ক্ষয়ক্ষতি বাবদ ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করেছেন ১১ হাজার ৮৯০ জন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ক্ষয়ক্ষতি বাবদ আবেদন করেছেন ৪৮৩ জন।
খেজুরি-২ ব্লকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিপূরণের জন্য ১১ হাজার ৩৫৫টি আবেদন এসেছে। এছাড়াও নন্দীগ্রাম-১ব্লকে ৮৪২৯টি আবেদন জমা পড়েছে। রামনগর-১ ব্লকে ৫১৭৯টি এবং রামনগর-২ ব্লকে ২৬৪৪টি আবেদন জমা পড়েছে। আগামী ১৮ জুন পর্যন্ত ক্যাম্প চলবে। কোন এলাকায় কত সংখ্যক ক্যাম্প হবে, সেটা আগেই ঠিক করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। একটি জায়গায় একদিনেই ক্যাম্প হচ্ছে। আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হলে সেক্ষেত্রে একটি জায়গায় দু’দিন ক্যাম্প হচ্ছে। প্রতিটি জায়গায় আবেদনকারীদের আগে রেজিস্ট্রেশন করানো হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৮ জুন ‘দুয়ারে ত্রাণ’ ক্যাম্প শেষ হওয়ার পর ১৯ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জমা পড়া আবেদন নিয়ে এনকোয়ারি হবে। ব্লক লেভেল টাস্কফোর্সের সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখবেন। তার ভিত্তিতেই তৈরি হবে উপভোক্তা তালিকা। বেনিফিসিয়ারি তালিকায় যাতে কোনও ভুয়ো ক্ষতিগ্রস্ত না থাকে, তা নিশ্চিত করতেই সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনের লোকজন বাড়ি বাড়ি ভিজিট করে তালিকা তৈরি করবেন। জেলাস্তরেও জেলাশাসককে মাথায় রেখে গঠিত হয়েছে ডিস্ট্রিক্ট লেভেল টাস্কফোর্স। ক্ষতিগ্রস্তদের ফাইনাল তালিকা অনুমোদন করবে ডিস্ট্রিক্ট লেভেল টাস্কফোর্স কমিটি। সেই তালিকার ভিত্তিতেই ১ থেকে ৭ জুলাই ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, দুয়ারে ত্রাণ ক্যাম্পে এখনও পর্যন্ত আমাদের জেলায় ভালো সাড়া পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করেই সেখানে ক্যাম্প হচ্ছে। ১৮ তারিখ পর্যন্ত ক্যাম্প চলবে।