কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
করোনা সতর্কতায় লকডাউনের জেরে ট্রেন, বাস, হোটেল বন্ধ হওয়ার পরই প্রশাসনের পরামর্শ মেনে বন্ধ হয়ে যায় ঐতিহ্যবাহী তারাপীঠ মন্দির। পুণ্যার্থীদের আনোগোনার উপর নির্ভর করে রুজি-রোজগার চলা সেবাইত ও ছড়িদাররা চরম বিপাকে পড়েন। টানা লকডাউনে রোজগার না থাকায় সেই সমস্ত পরিবারে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তারাপীঠ এলাকায় ছোটখাট ব্যবসা করে সংসার চালাতেন কয়েক হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বর্তমানে তাঁরাও অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন। সঙ্কটে পড়েছেন ফুল, পুজোর সামগ্রী বিক্রেতা থেকে হোটেলকর্মী।
অবশেষে সোমবার থেকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেইমতো এদিন তারাপীঠ মন্দির কমিটি বৈঠকে বসে। মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় ও সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আরও ১৫দিন মন্দির না খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলি করা হবে। আগামী ১৪ জুন ফের বৈঠকে বসে কবে মন্দির খোলা হবে সেই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মন্দির কমিটির সভাপতি বলেন, মন্দির খোলার পর প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে ১০জনের বেশি পুণ্যার্থী মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে মাস্ক বাধ্যতামূলক। সেবাইতদেরও মাস্ক ও ফেশ শিল্ড ব্যবহার করতে হবে। মন্দির চত্বরে বসানো হচ্ছে স্যানিটাইজার টানেল। সকলকে সেই টানেল ব্যবহার করতে হবে।
অনেকেই মনে করছেন, তারাপীঠে যে হারে পুণ্যার্থী সমাগম হয়, তাতে সামাজিক দূরত্ব বিধি লঙ্ঘন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদিও মন্দির কমিটির দাবি, মন্দিরের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা সেদিকে নজর রাখবেন।
উল্লেখ্য, প্রশাসনিক ঘোষণা মতো গত ২১ মে সামাজিক দূরত্ব বিধি অনুসরণ করে তারাপীঠে খুলেছে হোটেল। যদিও মন্দির বন্ধ থাকায় সেখানে অতিথির দেখা নেই। মন্দির খুললে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে বামাখ্যাপার এই সাধনাস্থল, আশাবাদী হোটেল অ্যাসোসিয়েশন।