কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
রামপুরহাট মহকুমায় লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার রাতে এই মহকুমায় আরও ২২জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। আক্রান্তদের মধ্যে নলহাটি-২ ব্লকের আটজন, রামপুরহাট-১, ২ ও ময়ূরেশ্বর-২ ব্লকে দু’জন করে, ময়ূরেশ্বর-১, নলহাটি-১ ও মুরারই-১ ব্লকে একজন করে ও মুরারই-২ ব্লকের পাঁচজন রয়েছেন। উপসর্গহীন সকলের বয়স ১৮-৪০এর মধ্যে। আক্রান্তরা সকলেই মুম্বই ও গুজরাত ফেরত শ্রমিক। তাঁদের কেউ ব্যক্তিগত উদ্যোগে আবার কেউ সরকারি ব্যবস্থাপনায় জেলায় ফেরেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রেখে লালারস সংগ্রহের পর গত ২২ ও ২৩মে বাড়ি ফিরিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, অধিকাংশই সেই নিয়ম মানেননি বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীরা জানান, রামপুরহাট-২ ব্লকের আক্রান্ত বছর ৩২-এর এক যুবক ছ’দিন আগে কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পেয়ে গ্রামের বাড়িতে ফেরেন। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে এলাকায় ঘোরাফেরা ও মাঠের কাজও করতে থাকেন। তার উপরে আক্রান্তকে করোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে সিভিক প্রহরায় বাড়িতেই রাখা হয়েছে। একইভাবে অন্যান্য ব্লকের আক্রান্তদের অধিকাংশকেও এদিন দিনভর বাড়িতে রাখা হয়। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় অতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা।
যদিও রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার ডেপুটি সিএমওএইচ(২) ডাঃ স্বপনকুমার ওঝা বলেন, ১৫জনকে রামপুরহাট করোনা হাসপাতালে ও বাকি সাতজনকে বোলপুর করোনা হাসপাতালে পাঠানো হবে। ব্লকগুলিতে খবর দিয়ে আক্রান্তদের চিহ্নিত করে সতর্ক করা হয়েছে। আপাতত অনেককেই বাড়িতে রাখা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স রেডি করে নিয়ে যাওয়া হবে। সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইন করা হচ্ছে।
এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, জেলার দু’টি হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা অপ্রতুলতার কারণে আক্রান্তদের ভর্তি করতে দেরি হচ্ছে। এই স্বাস্থ্যজেলায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে। এই ২২জনকে নিয়ে স্বাস্থ্যজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৬। আজ না হয় কোনওভাবে চলে যাবে। কাল নতুন করে আরও ২০জন আক্রান্ত হলে সমস্যার সৃষ্টি হবে।
অন্যদিকে, বীরভূম স্বাস্থ্যজেলায় গত ২৪ঘণ্টায় নতুন করে দু’জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে। তাঁদের মধ্যে একজন রয়েছেন বোলপুরের বাসিন্দা। অন্যজনের বাড়ি পাড়ুইয়ে। জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, এদিন বোলপুরের কোভিড হাসপাতাল থেকে আটজনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তবে, ক্রমশ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা নিয়ে সঙ্কট দেখা দিয়েছে।