শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
মৎস্য দপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁথি মহকুমায় আটটি ব্লকের মধ্যে কাঁথি-১, দেশপ্রাণ, রামনগর-১ ও ২ এবং খেজুরি-২ মিলিয়ে মোট ৫টি ব্লক সমুদ্র উপকূলবর্তী। ৫টি ব্লকে মোট ৪১টি মৎস্যখটি রয়েছে। উপকূল এলাকায় পাঁচ হাজারেরও বেশি পালা(খটির মৎস্যজীবীদের জন্য ঝুপড়ি ঘর) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে দেড় হাজারের বেশি পালা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পালার মধ্যে মজুত করে রাখা ৬০ থেকে ৭০টনের মতো শুটকি মাছ জলে ভিজে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৩০০টি মাছ ধরার নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে ২০০টির বেশি নৌকা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খটিগুলিতে তার ছিঁড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত চার-পাঁচ দিন খটিগুলি অন্ধকারে রয়েছে। নলকূপ ও সাবমার্সিবল পাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পানীয় জলের পরিষেবাও তথৈবচ। মৎস্যজীবীরা দূর থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করে আনছেন। এছাড়া মাছ ধরার জাল সহ অন্যান্য সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সময় যত গড়াবে, প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও তত স্পষ্ট হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
ইতিপূর্বে স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত খটির পালাগুলির জন্য ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। দুর্গত মৎস্যজীবীদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের সহ-সভাপতি দেবাশিস শ্যামল বলেন, এমনিতেই লকডাউনের কারণে সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় মৎস্যজীবীরা ভয়ঙ্কর আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন। তার উপর উম-পুন এসে সব শেষ করে দিয়ে গেল। মৎস্যজীবীরা কার্যত সর্বস্বান্ত হয়ে গেলেন। মৎস্য দপ্তরের কাছে মৎস্যখটিগুলির পুনর্গঠন ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে দপ্তরের কাছে জমাও দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একই আর্জি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।