শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
ষাটোর্ধ্ব তফসিলি জাতি ও উপজাতির মানুষের জন্য দু’টি নাম দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘জয় বাংলা’ প্রকল্পের সূচনা করেন। তফসিলি জাতির জন্য ‘তফসিলি বন্ধু’ এবং তফসিলি উপজাতির জন্য ‘জয় জোহার’ নাম দিয়ে প্রকল্পটি শুরু হয়। গত ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে অনলাইন ও অফলাইনের মাধ্যমে প্রকল্পে নাম নথিভুক্তের কাজ শুরু হয়। সাধারণত রাজ্যের যে সব তফসিলি জাতি ও উপজাতি পুরুষ এবং মহিলার বয়স ৬০ বছর হয়েছে, তাঁরা এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারছেন। নিয়ম অনুসারে, নাম নথিভুক্ত হয়ে গেলেই নির্দিষ্ট ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে সরাসরি এক হাজার টাকা(প্রতি মাস) ভাতা হিসেবে জমা হচ্ছে।
এবিষয়ে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, তফসিলি জাতি ও উপজাতির কোনও পুরুষ বা মহিলার বয়স ৬০ বছর হলেই পঞ্চায়েত বা ব্লক থেকে একটি ফর্ম দেওয়া হচ্ছে। সেই নির্দিষ্ট ফর্মটি ফিলআপ করে তার সঙ্গে ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, বংশপঞ্জিকা, স্থায়ী বসবাসের প্রমাণপত্র, ইনকাম সার্টিফিকেট এবং নিজের জাতি প্রমাণপত্র(নিজের না থাকলে রক্তের সম্পর্কের কারও দিলেও হবে), ব্যাঙ্কের পাস বই ও মোবাইল নম্বর দিয়ে ব্লকে জমা করতে হচ্ছে। ব্লকের অফিসার সমস্ত কাগজপত্র দেখে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করছেন। রেজিস্ট্রেশনের কয়েক দিন পরেই উক্ত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। একবার ভাতা চালু হলে যতদিন পর্যন্ত সেই উপভোক্তা জীবিত থাকবেন, প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে পেয়ে যাবেন।
রঘুনাথপুর মহকুমার ৬টি ব্লকের মধ্যে ইতিমধ্যে কাশীপুর ব্লকে প্রায় ৪হাজার জন, পাড়া ব্লকে প্রায় ২৫০০জন, রঘুনাথপুর-১ ব্লকের ১৫৬১জন, রঘুনাথপুর-২ ব্লকের ১৮৫০জন, নিতুড়িয়ার ১৩৫৭জন এবং সাঁতুড়ির ৮৯৫জনের নাম ‘জয় বাংলা’প্রকল্পের তফসিলি বন্ধু ও জয় জোহারে নাম নথিভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন চললেও কাজে যাতে কোনওরকম খামতি দেখা না দেয় ও মানুষ ভাতার সুবিধা পায়, তার জন্য জোর কদমে কাজ চলছে।
রঘুনাথপুর-২ বিডিও মৃন্ময় মণ্ডল বলেন, জয় বাংলা প্রকল্পের যে নির্দিষ্ট টার্গেট নিয়ে নেমেছিলাম ব্লকে তার ৮২শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। মানুষের হাতে কাজ নেই, টাকা নেই। তাই এই প্রকল্পের টাকা যাতে তাড়াতাড়ি দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
নিতুড়িয়ার বিডিও অজয় কুমার সামন্ত বলেন, ব্লকে তফসিলি বন্ধুতে ৯২৭জন এবং জয় জোহারে ৪২৭জন ভাতার সুবিধা পেয়েছেন।
ভাতার সুবিধা পাওয়া রতন কিস্কু, বীণাপানি মাল, সরস্বতী বাউরি বলেন, বয়স হয়েছে, কাজ করতে পারি না। ওষুধপত্র থেকে নিজের জিনিসপত্র কিনতে অনেক কষ্ট হতো। এখন দু’মাস হল ভাতার টাকা পাচ্ছি। তাই এখন আর অসুবিধা নেই। আমাদের মতো মানুষের কথা ভাবার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করি।