প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
লকডাউন চলাকালীন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ১১টা এবং বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অত্যাবশ্যকীয় পণ্যসামগ্রীর দোকানপাট খোলা এবং সংগ্রহ করা যাবে বলে পুর কর্তৃপক্ষ একটি রেজ্যুলিউশন করেছে। ওই সময়সীমার বাইরে দোকান খোলা এবং সংগ্রহ করা কোনওটাই যাবে না। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই মর্মে মাইকিং করা হয় শহরজুড়ে। এছাড়াও পরিবারপিছু দৈনিক সর্বোচ্চ দু’কেজি চাল, ৫০০গ্রাম ডাল, ৫০০গ্রাম নুন, আলু দু’কেজি, আদা ১০০গ্রাম, পেঁয়াজ ৫০০গ্রাম, সর্ষের তেল ৫০০গ্রাম, চিনি ৫০০গ্রাম, দুধ এক লিটার, গুঁড়ো দুধ ১০০গ্রাম এবং আটা এক কেজির বেশি কেনা যাবে না বলেও মাইকিং করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, জ্বালানি তেলের বিক্রিও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। দু’চাকার জন্য এক লিটার পেট্রল এবং চার চাকার জন্য চার লিটার জ্বালানি তেলের বেশি নেওয়া যাবে না।
এদিন সকালের দিকে তমলুক, পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, ময়না সহ গোটা জেলায় খাদ্যসামগ্রী কেনাকাটার জন্য মুদির দোকান, সব্জি দোকান এবং বাজারে ক্রেতাদের দেখা যায়। বেলা বাড়তেই ধীরে ধীরে রাস্তাঘাট শুনশান হয়ে যায়। সকাল ১১টার পর থেকেই রাস্তায় নামতে শুরু করে পুলিস। তমলুক শহরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও বাজারে যায় পুলিস। লোকজনকে বুঝিয়ে বাড়ি ফেরার কথা বলে পুলিস। এর আগের দিন পুলিস লাঠি চালালেও এদিন উর্দিধারীরা কখনও সুর নরম করে, আবার কখনও ধমকে বাড়ি ফিরে যেতে বলেছে সাধারণ মানুষকে।
এদিন জেলার বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ সাহায্য করা হয়। চণ্ডীপুর থানার ঝড়ের খেয়া নামে একটি ক্লাবের পক্ষ থেকে ৫০হাজার টাকার চেক জেলাশাসক পার্থ ঘোষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা টেলিটাওয়ার ওয়াকার্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এদিন দু’লক্ষ টাকার চেক জেলাশাসকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।