প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
এদিকে, সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী, পলিক্লিনিক, ডায়াগনোস্টিক, ওষুধ কর্মী আক্রান্ত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী। যে সকল স্বাস্থ্যকর্মী পেয়িং গেস্ট অথবা ভাড়ায় থাকেন, তাঁদের জোর করে বাড়ি ছাড়ার কথা বললেও কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।
বুধবার রাতে আসানসোলের হিলভিউ এলাকায় একদল যুবক মাঠে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। অভিযোগ, তারা গাঁজা ও মদ খাচ্ছিল। ওই জমায়েতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এক যুবককে মারধর করা হয়েছে। অন্যদিকে, মেমারিতেও এক সিভিক ভলান্টিয়ার এক যুবককে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করেছিলেন। ওই যুবক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে চড়াও হয়ে হম্বিতম্বিও দেখায়।
এদিন সকাল থেকেই পূর্ব বর্ধমান জেলার দক্ষিণ দামোদরের একাধিক বাজারে হানা দেয় পুলিস। পুলিস ভিড় সরিয়ে দোকানের সামনে চুন দিয়ে দেড় থেকে দু’মিটার অন্তর একটি করে গোলাকার বৃত্ত এঁকে দেয়। সেই বৃত্তে এক একজনকে দাঁড় করানো হয়। তবে, এদিন খণ্ডঘোষের বেড়ুগ্রামে সব্জি বাজারে ব্যাপক ভিড় দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে, আউশগ্রামের কয়রাপুর সব্জি বাজারে অনেকেই জিনিসপত্রের বেশি দাম নিচ্ছিলেন। ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল পেঁয়াজ। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার পুলিস বাজারে অভিযান চালানোর পর পেঁয়াজের দর নেমে আসে ২৫ টাকা কেজিতে।
গলসির জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দারা গ্রামে ঢোকার রাস্তা বাঁশ দিয়ে আটকে দিয়েছেন। লালকালি দিয়ে লিখে দেওয়া হয়েছে, ‘করোনা সতর্কতায় বহিরাগতদের গ্রামে প্রবেশ নিষেধ’। লকডাউনে আটকে পড়া বিহারের ১৬০জন শ্রমিককে কাটোয়া থেকে নিজেদের বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছিল প্রশাসন। বুধবার বাসে চাপিয়ে বিহারের ভাগলপুরের মহেশপুরের উদ্দেশ্যে তাঁদের পাঠানো হয়। কিন্তু, বিহারের পুলিস নিজের সীমান্ত থেকে ওই বাস ফিরিয়ে দেয়। ফলে, তাঁরা বৃহস্পতিবার ফের কাটোয়াতেই ফিরে আসেন। তাঁদের থাকা-খাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় বিধায়ক তহবিল থেকে মেমারির দু’টি হাসপাতালকে ১২ লক্ষ দিচ্ছেন বিধায়ক নার্গিস বেগম। জেলাশাসককেও এ ব্যাপারে চিঠিও দিয়েছেন।
বাজারে আকাল রুখতে রানিগঞ্জের টিডিবি কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ১০ লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছেন। অধ্যক্ষ আশিককুমার দে বলেন, বৃহস্পতিবার ওই হ্যান্ড স্যানিটাইজার আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্রনাথ তেওয়ারির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রেল শহর চিত্তরঞ্জনে তিনটি মূল গেট ছাড়াও অনেকগুলি ছোট ছোট পকেট গেট ছিল। বাইরের মানুষের যাতায়াত বন্ধ না হওয়ায় সেই পকেট গেটগুলি দেওয়াল তুলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিন আসানসোলের মহকুমা শাসক দেবজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, প্রয়োজনে হাসপাতালের কাছাকাছি হোটেলগুলি নেওয়ার ব্যাপারে বৈঠক হয়েছে। সেখানে চিকিৎসক ও নার্সরা থাকবেন। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত হোম কোয়ারেন্টাইনও করা যেতে পারে।