মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
২৪ ডিসেম্বর অর্থাৎ ৭ পৌষ থেকে শুরু শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। দূষণ নিয়ে বিস্তর জল ঘোলা হওয়ার পর এবছর মেলা হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। দীর্ঘ টালবাহানার পর শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বেশকিছু নতুন নিয়ম চালু করে এবছর পৌষমেলা করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমত এবারই সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে পৌষমেলার বুকিং শুরু হয়েছে। প্রতিবার মেলার স্টল বিতরণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার পাশাপাশি স্টলের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে ও স্টল মালিকদের কাছ থেকে সিকিউরিটি মানি নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, অনলাইন বুকিং শুরু হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, অনলাইন প্রক্রিয়ার ফলে যে কেউ দূর-দূরান্ত থেকে স্টল বুক করে নিতে পারেন। তাতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পছন্দমতো জায়গা পাবেন না বা তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে যে স্থানে মেলায় স্টল করে আসছেন তা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। অন্যদিকে, স্টলের ভাড়া অত্যধিক মাত্রায় বৃদ্ধি ও সিকিউরিটি মানি নেওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই। এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির দাবি, পুরনো ব্যবসায়ীদের আগে সুযোগ দিতে হবে ও মেলার প্লট বুকিংয়ের টাকা কমাতে হবে। এই দাবিতে এদিন বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কুশপুত্তলিকা এনে চলে বিক্ষোভ। বাধা দিলে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সামান্য ধস্তাধস্তি হয় ব্যবসায়ীদের। পরে ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব আশা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেন। তিনদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে ব্যবসায়ীরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। এমনকী, এই সময়ের মধ্যে অনলাইনে মেলার প্লট কোনও ব্যবসায়ী বুক করলে তাঁকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে বলে তাঁরা জানিয়ে দেন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ডেকরেটর মালিকরাও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি না মানলে মেলার মাঠে ডেকরেটর মালিকরা স্টল করবেন না বলেও জানিয়ে দেন। তবে বিশ্বভারতী সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এদিনও অনলাইনে বেশকিছু প্লট বুকিং হয়েছে।
বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুনীল সিং ও কোষাধ্যক্ষ সুব্রত ভকত বলেন, অনলাইন প্রক্রিয়াকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। তবে, বোলপুরের সাধারণ ও পুরনো ব্যবসায়ীদের সেক্ষেত্রে জায়গা নির্বাচনের জন্য অগ্রাধিকার দিতে হবে। তার সঙ্গে তাঁদের থেকে বর্ধিত স্টলের ভাড়া নেওয়া যাবে না। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে। তবে, যদি আমাদের এই ন্যায্য দাবি না মানা হয় তাহলে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাব। স্টল বুকিং হবে, কিন্তু মেলায় কোনও স্টলের প্যান্ডেল করতে দেব না।