বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর শনিবার প্রথম মুর্শিদাবাদে পা রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। বেলডাঙায় রুদ্ধদ্বার প্রেক্ষাগৃহে ২১ জুলাইকে সামনে রেখেই বর্ধিত জেলা কমিটিকে ডাকা হয়েছিল। রুদ্ধদ্বার সভাকক্ষে এদিন মোবাইল ফোনও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২৬টি ব্লক ও আটটি টাউন সভাপতি সহ এদিনের সভায় পুরসভার কাউন্সিলাররাও উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী জাকির হোসেন, দুই সংসদ সদস্য, অধিকাংশ বিধায়কও এদিন হাজির হয়েছিলেন।
দলীয় নেতৃত্বের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে উঠে প্রথমেই জন সংযোগ যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দুবাবু। তিনি বলেন, ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে জন সংযোগ যাত্রা কর্মসূচি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, মুর্শিদাবাদের ২৬টি ব্লক ও অটটি টাউন কমিটির তিন চারজন বাদে কেউ এই কর্মসূচি এখনও পালন করেনি। ২১ জুলাইয়ের দেওয়াল লিখন, মুখ্যমন্ত্রীর সই করা শুভেচ্ছাপত্র বিলি কোনও দায়িত্বই সঠিকভাবে পালন করা হয়নি। দায়িত্ব পালন করতে না পারলে পদে থাকবেন কেন?
শাখা সংগঠনগুলির কাজের খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন, শাখা সংগনগুলিতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন রয়েছে। ২১ জুলাইয়ের পর দলনেত্রীর অনুমোদন নিয়ে নতুন জেলা কমিটি গঠন করা হবে। এরপরই লোকসভা ভোটের প্রসঙ্গ তুলে বেশ কয়েকজন নেতা নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে দলের হয়ে কাজ করেননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। উদাহরণ হিসেবে লালবাগ টাউন সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিপ্লব চক্রবর্তীকে যেহেতু ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাই আপনি লোকসভা ভোটে দলের হয়ে কোনও কাজ করেননি। বিরোধিতা করলে তৃণমূল কংগ্রেস করতে দেব না। বাছাই করা লোক থাকবে। সেই লোক নিয়ে লড়াই হবে। হার-জিত আছেই।
বহরমপুর লোকসভায় পরাজয়ের গণিত তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, পুরভোটে কী হবে আমি জানি না। উন্নয়নে প্রচুর টাকা দেওয়া হয়েছে। আমি সবাইকে সাহায্য করতে রাজি আছি। কিন্তু, বহরমপুর শহরের কালিদাসদের সাহায্য করতে পারব না। বহরমপুরকে সাহায্য করা আমার ক্ষমতার বাইরে। সব মানুষের ক্ষমতার একটা সীমাবদ্ধতা আছে। আমাকে অনেক ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল। ১১জন বিধায়ক দু’জন সংসদ সদস্য আছেন, তাঁরাই বহরমপুর দেখুন। বাকি সাতটি পুরসভা আমি দেখব। সব শেষে এদিনের সভা থেকে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতির রূপরেখা ঠিক করে দেন শুভেন্দুবাবু।