বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
এর পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্যও গ্রামে শিবির করার উদ্যোগ নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। গতবছর থেকে সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় শবরদের নাম নথিভুক্ত করার কাজ শুরু হয়। গতবছর নভেম্বর থেকে চলতি বছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জেলায় ১১৭৫জন শবরের নাম প্রকল্পে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫৭৫জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এখনও ৬০০জনের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়নি। জেলায় এখনও প্রায় দেড় হাজার শবর পরিবারের কাছে কাস্ট সার্টিফিকেট নেই।
অভিযোগ, কাস্ট সার্টিফিকেট না থাকায় লোধা-শবররা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না। পড়াশোনার ক্ষেত্রে তারা নিজেদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই শবরদের শিক্ষাগতভাবে এগনোর ক্ষেত্রে এই কাস্ট সার্টিফিকেট খুবই প্রয়োজন। কিন্তু, উপযুক্ত নথির অভাবে তাঁরা এই সার্টিফিকেট করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। অনেকের আবার সরকারি অফিসে গিয়ে সার্টিফিকেট তৈরির ক্ষেত্রে অনীহা রয়েছে। তাই প্রশাসনই এবার শবর অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে দুয়ারে আসছে, যাতে তাঁরা সামাজিকভাবে নানা দিক থেকে মূলস্রোতে আসতে পারে।
সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ৪০হাজার শবর রয়েছে। এরমধ্যে ঝাড়গ্রাম জেলায় ১৮হাজার শবর সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। ঝাড়গ্রাম জেলায় শবরদের উন্নয়নের জন্য গতবছর ডিসেম্বর মাসে ১০কোটি ৪০লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। ওই টাকা বাংলার আবাস যোজনায় বাড়ি, বাড়ি সংস্কার, পরিস্রুত পানীয় জল, স্ব-সহায়ক দলের গোষ্ঠীদের আর্থিক ভাবে স্ব-নির্ভর করার জন্য পশুপালন, স্কিল ডেভলপমেন্ট সহ একাধিক কাজ চলছে।
জেলাশাসক আয়েষা রানি এ বলেন, এখনও কিছু শবর পরিবারের কাস্ট সার্টিফিকেট নেই। তাই শবরদের গ্রামে শিবির করে কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।