বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ জুলাই এমবিএ প্রধানের সঙ্গে বিভাগের কয়েকজন অধ্যাপকের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেই সময় গৌতমবাবু প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধানের হাত কামড়ে দেন বলে অভিযোগ। হাতাহাতি থামাতে গিয়ে এক অধ্যাপক জখম হন। এবিষয়ে কয়েকজন অধ্যাপক উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ জমা দেন। উপাচার্য তিনজনের একটি কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক ও পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট তৈরি করে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, দুই রিপোর্টে দুই অধ্যাপককে দোষারোপ করেছেন তদন্তকারীরা। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিভাগীয় প্রধান আচমকা কামড়াননি। তাঁকে ঘটনার দিন উত্ত্যক্ত করা হয়। এনিয়ে বচসা শুরু হলে তাঁকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়। তাতে বিভাগীয় প্রধানের শ্বাসরোধ হয়ে পড়ে। বাঁচার তাগিদেই তিনি হাতে কামড়ে দেন। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত মাসখানেক আগে। ঘটনার দিন সকালে এক ছাত্রের চাকরির ব্যাপারে মেল করছিলেন বিভাগীয় প্রধান। সেই সময় কয়েকজন অধ্যাপক তাঁর কাছে গেলে বিভাগীয় প্রধান তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। রিপোর্টে বিভাগীয় প্রধানকে ছাত্রদরদি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত তাঁর উদ্যোগেই ২৩ জন পড়ুয়া বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ১০ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য কমিটিকে বলা হয়। সেই রিপোর্ট নিয়ে কর্মসমিতির বৈঠকে আলোচনা হয়। সেখানেই লজ্জাজনক এই ঘটনার জন্য বিভাগীয় প্রধানকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দেখে এমবিএর বিভাগীয় প্রধানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত কলা বিভাগের ডিন দায়িত্ব সামলাবেন।