বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
এদিন মলয়বাবু বলেন, তৃণমূলের ঘুরে দাঁড়ানোর কোনও বিষয় নেই। কারণ, তৃণমূল কংগ্রেস এখনও দাঁড়িয়েই রয়েছে। বিজেপির এত চেষ্টার পরেও লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বিচার করলে তৃণমূল বিধানসভায় ১৬৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। এরাজ্যের বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগারের তুলনায় অনেক বেশি আসন। তাই কর্মী ও নেতাদের হতাশ হওয়ার এবং ভয় পাওয়ার কোনও জায়গা নেই।
তিনি আরও বলেন, ২০১১সালের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা বহু আন্দোলন করেছেন। সাধারণ মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর কংগ্রেস ও সিপিএম কার্যত উধাও হয়ে যায়। বিরোধীদের পার্টি অফিসগুলিও বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময়কালে তৃণমূল নেতাদের রুটিন অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা পার্টিঅফিস এবং আবার বাড়ি। পার্টি অফিসে কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে কথা বলেই নেতারা বাড়ি ফিরতেন। এই রুটিনের পরিবর্তন করতে হবে। দলীয় কার্যালয়ে বহু মানুষ তাঁদের সমস্যা নিয়ে আসেন ঠিক কথা। কিন্তু, নেতা কর্মীদের এলাকায় মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে। যাঁরা গ্রাম পঞ্চায়েত বা সমিতিতে জয়ী হয়েছেন তাঁদের প্রতিদিন অন্ততপক্ষে একঘণ্টার বেশি সময় গ্রামে এবং নিজের এলাকায় ঘুরে সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নেওয়া শুরু করতে হবে। এরকম করতে পারলেই তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে। যা কেউ হাজার চেষ্টা করেও ভাঙতে পারবে না। তাছাড়া কর্মীদের মধ্যে রাজনৈতিক ক্লাসেরও প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি এদিনের সভায় আরও বলেন, চায়ের দোকানে বা পাড়ার মোড়ে তৃণমূল কংগ্রেস দলের এবং সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলে কেউ যদি বদনাম করতে চায়, তাহলে চায়ের দোকানে সঙ্গে সঙ্গে যুক্তি দিয়ে তার প্রতিবাদ করতে হবে। একই সঙ্গে এদিন হরিপদ সাহিত্যমন্দিরে সভামঞ্চের পাশে এবং বাইরে শহিদদের নামের তালিকা টাঙানো থাকায় যুব সংগঠনকে ধন্যবাদ জানান শ্রমমন্ত্রী।
সভায় শান্তিরামবাবু বলেন, বিরোধীদের বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের বিরুদ্ধে আমরা সঠিক তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিশ্রুতি ও বাস্তব কাজের ফারাকের বিষয়ে যুব তৃণমূল কর্মীদের লাগাতার প্রচার করতে হবে।
সভাধিপতি বলেন, বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়াকে গ্রাস করে নিয়েছে। যুব তৃণমূল কর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির মিথ্যা কথা ও বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হতে হবে।
যুব তৃণমূলের সভাপতি সুশান্ত মাহাত বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের কেউ কেউ দলে থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রীরও সমালোচনা করার মতো স্পর্ধা দেখাতে শুরু করেছেন। যুব তৃণমূলের কর্মীরা নেত্রীকে সমালোচনা করার মতো স্পর্ধা দেখায় না। পুরুলিয়া জেলার যুব তৃণমূল কর্মীরা নেত্রীর সম্মান রক্ষার জন্য ব্যাপক সংখ্যক উপস্থিতি দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকে বার্তা দিতে চায় যে, দলের খারাপ সময়েও যুব তৃণমূলের কর্মীরা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছে।