পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সমস্ত সার্কেলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের (এসআই) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শুক্রবার থেকে আগের সময়ে পঠনপাঠন চালু করতে।
তবে এদিনের নির্দেশিকায় শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। একাংশের অভিযোগ, সকালে পঠনপাঠন চলাকালীন নির্দেশ এলে পড়ুয়াদের সময় বদলের বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া যেত। দুপুরে নির্দেশ দেওয়ায় অভিভাবকদের জানানো সম্ভব নয়। সেজন্য একাধিক স্কুল শুক্রবার সকালে ক্লাস করানোর কথা ভাবছে। নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক শংকর ঘোষের কথায়, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের উদ্যোগকে সাধুবাদ। বৃহস্পতিবার স্কুল বন্ধ হওয়ার পর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এতে শিক্ষকদের সমস্যা বেড়ে গিয়েছে। শুক্রবার থেকে সকালের পরিবর্তে দুপুরে স্কুল খোলা হবে, সেই খবর অভিভাবকদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
জেলার শিক্ষা পরিদর্শক (প্রাথমিক) সানি মিশ্র বলেন, রাজ্যের তরফে কোনও নির্দেশ না পেলেও জেলায় তাপপ্রবাহ নেই। সেই কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শুক্রবার থেকে দুপুরে স্কুল করার। প্রত্যেক সার্কেলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে।
মাঝিয়ান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক সুমন সুত্রধর বলেন, জেলায় তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তাপপ্রবাহ নেই। হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ২৩ জুন পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
তাপপ্রবাহের কারণে রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের তরফে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে দুপুরের পরিবর্তে সকালে পঠনপাঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ১৩ জুন থেকে সকালে স্কুলে চালু হতেই জেলায় তাপপ্রবাহ কমে যায়। তবে, সকালে স্কুল হওয়ায় দূরদূরান্তের শিক্ষকদের সমস্যা বেড়েছিল। তাপপ্রবাহ কমে যাওয়ায় শিক্ষকদের মধ্যে দাবি ওঠে ফের আগের মতো দুপুরে স্কুল শুরু করার। সবদিক বিবেচনা করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে সিদ্ধান্ত বদলানো হয়েছে। শিক্ষক মহলে স্বস্তি ফিরলেও এই নির্দেশিকা আগাম দিলে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের জানাতে সুবিধা হতো বলে মনে করছেন অনেকে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদাকে একাধিকবার ফোন ও মেসেজ করলেও উত্তর দেননি।