পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
একমাত্র কন্যাকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন স্নেহার বাবা মহিলাল মণ্ডল। চোখের জল মুছে বললেন, জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে জেনারেল কামরায় উঠেছিলাম। মেয়ে শৌচালয়ে ঢুকেছিল। বাইরে তার অপেক্ষায় ছিলাম। তারমধ্যেই সব ওলটপালট হয়ে গেল। আহত অবস্থায় মেয়েকে কোলে করে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার সঙ্গে কথা বলছিল। মঙ্গলবার থেকে স্কুল যাওয়ার কথা ছিল স্নেহার। এভাবে ছেড়ে চলে যাবে ভাবতে পারিনি।
রাতেই ভালুকায় সমাধিস্থ করা হয় স্নেহাকে। এদিন সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে ছিলেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া, পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদব, জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ, চাঁচলের এসডিও শৌভিক মুখোপাধ্যায়, এসডিপিও সোমনাথ সাহা, বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সি ও ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী সহ পুলিস প্রশাসনের কর্তারা।
সোমবার সকালে রাঙাপানিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় জখম হয়েছিল স্নেহা ও তার বাবা-মা। শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিকু বিভাগে টানা ২০ ঘন্টা লড়াইয়ের পর মঙ্গলবার সকালে যুদ্ধে হার মানে ছয় বছরের ওই শিশুকন্যা। প্রশাসনের তরফে গ্রামে দেহ আনার ব্যবস্থা করা হয়। দু’টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে আহত বাবা-মা ও স্নেহাকে কালীগঞ্জের বাড়িতে আনা হয় রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ। সঙ্গে ছিল মেডিক্যাল টিম। দেহ আসার পরে আহত বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন মালদহের জেলাশাসক। শারীরিক অবস্থা দেখে তাঁদের পরবর্তী চিকিৎসার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেন ডিএম। চাঁচলের মহকুমা শাসক শৌভিক মুখোপাধ্যায় বলেন, বুধবার সকালে মালদহ মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্নেহার বাবা-মাকে। সেখানে তাঁদের চিকিত্সা চলছে।
স্নেহার বাবার সঙ্গে কথা বলছেন মালদহের জেলাশাসক। রয়েছেন পুলিস সুপার ও বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র