সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
বনদপ্তরের বালুরঘাটের রেঞ্জার সুকান্ত ওঝা বলেন, মঙ্গলবার সকালে ফের নীলগাইয়ের দেখা মিলেছে। আমাদের কর্মীরা সকাল থেকেই জাল নিয়ে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাচ্ছেন। নীলগাই শান্ত প্রকৃতির প্রাণী। এরা মানুষের ক্ষতি করে না। তবে খুব দ্রুত ছুটতে পারে। তাই ধরা একটু মুশকিল হচ্ছে। কোথা থেকে তা এসেছে, এনিয়ে তদন্ত চলছে।
এবিষয়ে অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার বোর্ডে কর্মরত এক কর্মী তথা বালুরঘাটের পশুপ্রেমী ব্রতীন চক্রবর্তী বলেন, আমরা খবর পেয়েছি। নীলগাইটি মালদহের আদিনা থেকে আসতে পারে। বালুরঘাটে যে নীলগাইটি চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেটিকে ধরা জরুরি। ধরা গেলে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হবে। কেউ দেখতে পেলে যেন সঙ্গে সঙ্গে বনদপ্তরে খবর দেন। বনদপ্তর জানিয়েছে, এদিন সকালে বালুরঘাটের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে নীলগাইটিকে দেখা যায়। অযোধ্যা, নকশা, ভাটপাড়া সহ নানা জায়গায় সেটি ছুটে বেড়ায়। অনেকে ধরার চেষ্টা করলেও পারেনি। এদিনও একজন ভিডিও করেছেন। এদিকে বনদপ্তরের টিম সকাল থেকেই জাল নিয়ে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছে। নীলগাইয়ের পিছনে ছুটেও সেটিকে বাগে আনতে পারছে না।
বালুরঘাটের নকশা গ্রামের নয়ন মহন্ত বলেন, এদিন সকালে আমাদের গ্রামে নীলগাইটি দেখতে পেলাম। দ্রুত দৌড়ে চলে গেল। বনদপ্তর খোঁজ চালাচ্ছে। রবিবার ভোররাতে নীলগাইটির দেখা মেলে বালুরঘাট শহরে। বালুরঘাটের পাওয়ার হাউস এলাকায় জাতীয় সড়কে অনেকেই সেটিকে ছুটতে দেখেন। অনেকে হরিণ বা বাছুর বলে মনে করেছিলেন। যদিও পরে জানা যায়, ওই বন্যপ্রাণীটি আসলে নীলগাই। এদিকে নীলগাই বালুরঘাটে আগে কখনও দেখা যায়নি। এই অঞ্চলের প্রাণীও না। তবে কোথা থেকে সেটি এসেছে, তা নিয়ে রহস্য বাড়ছে। কিছুদিন আগেই তপনের রামচন্দ্র গ্রামে নীলগাই দেখা গিয়েছিল। এটিই সেটি কি না তা খতিয়ে দেখছে বনদপ্তর। বালুরঘাটের আগে কখনও নীলগাই দেখা না গেলেও তপনের পাহাড়পুর ফরেস্টে দেখা গিয়েছিল। নতুন করে কোথা থেকে প্রাণীটি এসেছে, তা নিয়ে রহস্য বাড়ছে। বালুরঘাটের কাছেই বাংলাদেশ সীমান্ত। তাই নীলগাই পাচার হচ্ছে কি না, তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। যদিও পাচারের কোনও যোগ নেই বলে বনদপ্তর জানিয়েছে। নীলগাইটিকে যাতে দ্রুত উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়, সেই দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।