সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দ্রুত দোষীদের ধরে কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিরলই গ্রামে একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান ছিল। রাত ১১টা নাগাদ এক আদিবাসী পরিবারের দুই বোন সেই বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিল। রাস্তায় পাঁচ জনের দুষ্কৃতী দল তাঁদের দু’জনকেই অপহরণ করে গ্রামের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। এরপর বড় বোনকে দুই দুষ্কৃতী গণধর্ষণ করে। পরে আরেকটি দল ছোট বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু চিৎকার শুরু করলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। এরপর দুই কিশোরী বাড়ি ফিরে ঘটনাটি পরিবারকে জানায়। পরিবারের লোক ও প্রতিবেশীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিয়েবাড়িতে যান। সেখানেই শৈলেন সোরেন নামে এক অভিযুক্তকে তাঁরা আটকে রাখেন। এনিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে পুলিস খবর পেয়ে বিয়েবাড়ি থেকে ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। তদন্ত চালিয়ে পুলিস গণধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারে। এদিকে মেয়েদের উপর নির্যাতনের জেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তাদের মা।
পুরো বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে পুলিসও। মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, দুই বোন একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিল। সেসময় একদল যুবক বড় মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। ছোট মেয়েকে তারা কুপ্রস্তাব দিয়েছিল। ঘটনায় একজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। বাকি চার জনকে খুব শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে। দুই বোনেরই মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার পর নির্যাতিতার মা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। ঘটনার আমরা তদন্ত চালাচ্ছি। নির্যাতিতা কিশোরীর ছোট বোন পুলিসকে জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা তার দিদিকে প্রথমে অপহরণ করে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। পরে তাকেও ধর্ষণের চেষ্টা করে। যদিও চিৎকার চেঁচামেচি করে সে রক্ষা পেয়েছে।
এদিকে আকস্মিক ওই ঘটনায় হতবাক গ্রামের সকলেই। হবিবপুরের ওই গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিস সূত্রের খবর, গণধর্ষণের ঘটনায় আরও চার জন যুক্ত রয়েছে বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। তারা ঘটনার পরেই গা ঢাকা দিয়েছে। ফেরার অভিযুক্তদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে জানান পুলিস সুপার।